২৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে প্রাণ-আরএফএল

নতুন চার খাতে ২৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। ২০২৩ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ২০ কোটি ডলার (২ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা) বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে গাড়ির যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রিক বাইক, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও টেবিলওয়্যার খাতে এ অর্থ বিনিয়োগ হবে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী ফেসবুকে এক পোস্টে নতুন বিনিয়োগের খবর শেয়ার করেছেন। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আহসান খান চৌধুরী বলেন, ভোক্তা চাহিদা পূরণ ও আমদানির বিকল্প হিসেবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নতুন বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে করে নতুন ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমরা আসলে ২০২২ সালেই এসব বিনিয়োগ শুরু করেছি। তবে বিরাজমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালে আমরা বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার ২৫ ভাগ পূরণ করতে পেরেছি। তবে আমরা কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও বিনিয়োগ কৌশল নির্ধারণের কাজ শেষ করেছি। পরিচালন ও উৎপাদন ব্যয় কমানোরও চেষ্টা করেছি।

প্রাণ গ্রুপের কর্ণধার জানান, পানীয়, কনফেকশনারি, বিস্কুট, বেকারি, গার্মেন্টস, বাইসাইকেল, এক্সেসরিজ, রেফ্রিজারেটর, ইলেভেটর, ফুটওয়্যার, পাইপ, ক্যাবলস ও রিসাইক্লিং খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ১৮টি শিল্প পার্ক ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কারখানায় নতুন বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। স্থানীয় ও বিদেশি কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ইকুইটি থেকে বিনিয়োগের অর্থ আসছে।

তিনি বলেন, গাজীপুরের মুক্তারপুরে ১৮০ বিঘা জমিতে কালীগঞ্জ এগ্রো প্রসেসিং নামে একটি শিল্প পার্কে নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ দ্রুত চলছে। সেখানে সয়াবিন প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধনের পাশাপাশি ময়দা, লবন, ডাল ও ফার্ম ফিড প্রস্তুত হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওই কারখানার পণ্য বাজারে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্মার্ট ও ফিচার ফোন প্রস্তুতের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নরসিংদীতে প্রাণ শিল্প পার্কে স্মার্ট ও ফিচার ফোন ছাড়াও মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন ব্যাটারি, হেডফোন প্রস্তুত হবে। এছাড়া উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সংখ্যায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গার্মেন্টস চালু করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থান এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতির উন্নয়ন সাধন করাই প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মূল লক্ষ্য। আমরা এখন যত কারখানা প্রতিষ্ঠা করছি, সবগুলোই ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রামীন অঞ্চলে। আমরা শ্রমঘন শিল্পগুলো ঢাকার বাইরে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।