ব্রিটিশ মুসলিম লেখিকা ও সাংবাদিক লরেন বুথ বলেছেন, ইসলাম গ্রহণ করলে, আপনি নিজেও ইসলামিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে যাবেন। ফলে আমি যখন মুসলিম হয়েছি, তখন আর আমার ইতিহাস ইংল্যান্ডের রানী ও রাজাদের ইতিহাস নয়। এটি নবী (স.), তাঁর বংশ, তাঁর জীবনের ইতিহাসের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে। সম্প্রতি তার প্রকাশিত ‘ইন সার্চ অফ এ হোলি ল্যান্ড’ নিয়ে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির সাথে এক আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন লরেন বুথ।
লরেন বুথ ও তার বই
১১ বছর আগে ফিলিস্তিন সফর করেছিলেন লরেন বুথ। এরপরই ইসলাম গ্রহণ করেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা এই বিশিষ্ট লেখিক। সে সময় মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণের পর (তিন বছর আগে) ইস্তাম্বুলে বসতি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন বুথ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য তুরস্ককে বেছে নিতে পারায় আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, ব্রিটেন, কানাডাসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা নওমুসলিমরাও তুরস্কের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। আমার মনে হচ্ছে এখানে একটি দুর্দান্ত জমায়েত তৈরি হচ্ছে।
লরেন বুথ
লরেন বুথ বলেন, আমি তুরস্কের বড় বড় মসজিদগুলোতে গিয়ে আমি অনেক নতুন কিছু বুঝতে শিখেছি, জানতে পেরেছি। একজন পশ্চিমা নাগরিক হিসেবে তুর্কিরা কারা, অটোমান সাম্রাজ্য কী- এসব সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে ছিলাম। তাই আমাকে আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হয়েছিল।
আর সে কারণে আমি অটোমানদের ইতিহাস সম্পর্কে একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমি বেশকিছু মসজিদ, ইতিহাস নিয়ে ভিডিও তৈরি করেছি।
ইস্তাম্বুলের পরিবার ব্যবস্থা, সেখানকার মানুষের আচার-আচরণ লরেন বুথকে মুগ্ধ করেছে। ইস্তাম্বুলে বুথ তার স্বামীর সাথে থাকেন। ইসলাম গ্রহণের পরও তার বোন চেরি ব্লেয়ার, যিনি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী, তার সাথে বুথের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
'ইন সার্চ অফ এ হোলি ল্যান্ড'- বইটির ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে লরেন বুথ বলেন, এটি সত্যসন্ধানী একটি আত্মার গতিশীল ভ্রমণ, দুঃসাহসিক কাজ। এটি আমার দোলনা থেকে সেলিব্রিটি হওয়া, ফিলিস্তিনে যাওয়া ও সক্রিয়তার গল্প। তার ভাষায়, আমরা কীভাবে হারিয়ে যাই এবং কীভাবে আলো খুঁজে পাই তার আধুনিক সময়ের একটি গল্প। বইটি সে বিষয়েই।
বইটির তুর্কি সংস্করণও বের হয়েছে।