কোরআন অবমাননা: চার্চে ফুল বিলিয়ে প্রতিবাদ

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জনসমক্ষে কোরআন অবমাননার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পুরো বিশ্ব। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘও এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে। কোনো কোনো দেশ সুইডেনের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে এর মধ্যেই ভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্কের এক দল মুসলিম। খবর মিডলইস্টমনিটর।

চার্চে ফুল দিচ্ছেন একদল মুসলিম

খবরে বলা হয়, তুরস্কের মারদিন প্রদেশের আরতুকলো শহরের একদল মুসলিম তরুণ চার্চে ফুল উপহার দিয়ে অভিনব পন্থায় পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছেন। দলের অন্যতম সদস্য ইব্রাহিম খলিল বলেন, সুইডেনে সংঘটিত হৃদয়বিদারক ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা চিন্তা করছিলাম, কীভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো যায়। পরে আমরা মুসলিম হিসেবে নবী মোহাম্মদের (স.) উপদেশই অনুসরণের চেষ্টা করি। তাই আমরা গির্জা পরিদর্শন করে ফুল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিই, যাতে আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বিরাজ করে।

গত শনিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের কাছে ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থী দলের নেতা রাসমাস পালুদান পুলিশি নিরাপত্তাবেষ্টিত অবস্থায় পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে অগ্নিসংযোগ করেন। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়।

কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ পুরো বিশ্ব

তুরস্কের আর্মেনিয়ান চার্চও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে চার্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর এ ঘটনা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি শুধু মুসলিমদের অনুভূতিকেই আঘাত করে না, বরং সবাইকে অনুতপ্ত করে তোলে। এই ধরনের কাজ বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের মধ্যে শত্রুতা উসকে দেয়। এমন ঘৃণ্য কাজ কোনোভাবেই গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, কোরআনের অগ্নিসংযোগের এ অপকর্ম বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলিমের বিরুদ্ধে উসকানি। এ ধরনের কাজ বিশ্বজুড়ে বিবাদ ও ঘৃণার বিকাশ ঘটায়।

মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ও এমন ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, কোরআন অবমাননার ঘটনা মুসলিমদের অনুভূতিকে চরমভাবে আঘাত করে। অথচ এই বিপথগামীরা কখনই ধর্মের মূল্য উপলব্ধি করবে না, যদি না তারা চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে। তাই সবার উচিত ডাচ ও সুইডিশ পণ্য বয়কট করা।