শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন ৪৬০ পুলিশ সদস্য

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরাও। বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো পুনর্গঠন ও বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী মোকাবেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। শান্তিরক্ষা মিশনে সফলতার স্মাক্ষর হিসাবে পর্যায়ক্রমে এ বাহিনীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

এরই অংশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি ও ডিআর কঙ্গোতে এক বছরের জন্য প্রেষণে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন পুলিশের ৪৬০ জন সদস্য।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেল বুধবার (২৫ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, মিশনে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ইন্সপেক্টর, এসআই, সার্জেন্ট, কনস্টেবল ও নায়েক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা রয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মালি ও ডিআর কঙ্গোতে এক বছর মিশনে পাঠানোর জন্য ৪৬০ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পাঠানো হচ্ছে। শান্তিরক্ষা মিশনে এসব কর্মকর্তার যাতায়াত খরচসহ যাবতীয় ব্যয়ভার জাতিসংঘ বহন করবে। অন্যান্য শর্ত জাতিসংঘ থেকে পাওয়া নির্দেশাবলীর আলোকে (যদি থাকে) পরে নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। এর প্রথম মিশন ছিল ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে। ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি পালন ও বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা। বর্তমানে ১৭টি অব্যাহত রয়েছে।