দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ২ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত

প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ কাস্টমস কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাদের দেওয়া হয়েছে ডব্লিউসিও সার্টিফিকেট অব মেরিট পুরস্কার। যে পুরস্কারকে কাস্টমসে সেরা সম্মাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৭ কর্মকর্তার তালিকায় প্রথমে আছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযুক্ত কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম ও উপকমিশনার পারভেজ রেজা চৌধুরী। এতে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) মানদণ্ড বিবেচনায় না নিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এনবিআর সূত্রের বরাতে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সেবাপ্রার্থীকে হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নেয়ামুল ইসলামের নামে প্রথমে যশোরে একটি মামলা হয়। তখন তিনি বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে এজাহার দেয় দুদক। এই মামলায় তিন নম্বরে রয়েছেন নেয়ামুল ইসলাম। এর আগে নিজের ভাগ্নের প্রতিষ্ঠানের ভায়াগ্রার চালান ছাড়করণে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পরে তাকে বদলি করে এনবিআরে যুক্ত করা হয়। একই মামলায় ২২ নম্বরে রয়েছেন বেনাপোল কাস্টমসের তৎকালীন উপকমিশনার পারভেজ রেজা চৌধুরী। তাকেও বদলি করে এনবিআরে যুক্ত করা হয়।

সার্টিফিকেট অব মেরিটের সিলেকশন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল মান্নান শিকদার বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, আমরা সেটা জানতাম না। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের মনোনীত করা হয়েছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

পুরস্কারের জন্য মনোনয়নে ডব্লিউসিওর যোগ্যতার মানদণ্ডে উল্লেখ আছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগ্যতা, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, নিষ্ঠা, ত্যাগ, একাগ্রতা, সততা, সাহসিকতা, শুদ্ধাচার ও পেশাদারিত্ব থাকতে হবে।

অভিযোগ উঠেছে, পুরস্কারের জন্য কর্মকর্তা বাছাইয়ে এসব শর্তকে গৌণ করে দেখা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের জন্য ডব্লিউসিও সার্টিফিকেট অব মেরিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। প্রতিবছর এই সনদ পান সর্বোচ্চ ২০ কর্মকর্তা। এই শর্ট লিস্ট অধিকতর যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল।