আদানি নয়, এশিয়ার শীর্ষ ধনী আম্বানি
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারমূল্য বাড়িয়ে দেখানোর খবর প্রকাশের পর থেকে অব্যাহত ধসের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির সম্পদ। ধনকুবেরদের বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে নেমে ১৫-তে ঠেকেছেন আদানি গ্রুপের এ কর্ণধার। এশিয়ার শীর্ষ ধনীর অবস্থান থেকেও ছিটকে পড়েছেন তিনি। তার জায়গায় মহাদেশের সবচেয়ে ধনী হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক মুকেশ আম্বানি।
এশিয়ার শীর্ষ ধনী এখন মুকেশ আম্বানি (ছবিতে ডানে), ছিটকে পড়েছেন গৌতম আদানি
আজ বুধবার বিকেল নাগাদ গৌতম আদানির সম্পদ আরও ১৩ বিলিয়ন (১ হাজার ৩০০ কোটি) ডলার কমে ৭৫ দশমিক ১ বিলিয়ন (৭ হাজার ৫১০ কোটি) ডলার হয়েছে। এ সুবাদে তাকে পেছনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর জায়গা নিয়েছেন ৮৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন (৮ হাজার ৩৭০ কোটি) ডলার সম্পদের মালিক মুকেশ আম্বানি।
স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পারা গৌতম আদানি উদ্যোক্তা হিসেবে অল্পদিনে বিরাট সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। বিশেষত ভারতের গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নানা প্রকল্পের কাজ পেতে থাকেন তিনি।
১৯৯৯ ও ২০১০ সালে দুইবার শেয়ার কারসাজির জন্য গৌতম আদানিকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি। তবে ভারতে সরকার বদলের পর তাকে আর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। বিশেষত নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হবার পর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, খনি ও সিমেন্ট কারখানার মালিক হতে থাকেন গৌতম আদানি। ভারতের বাইরে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই ও ইসরায়েলেও তার ব্যবস্থা বিস্তৃত হয়। বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে যান গৌতম আদানি।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের জালিয়াতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ভুয়া অডিট প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির আয় ও মুনাফা বছরের পর বছর ধরে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। গৌতম আদানি, তার দুই ভাই বিনোদ আদানি ও ব্রজেশ আদানি মিলে নিজেরাই সাইপ্রাস, মরিশাস, দুবাই ও ক্যারিবিয়ানভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানি গড়ে তুলে সেগুলোর নামে আদানি কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনাবেচা করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্যে ধস নেমেছে। গত সাত কর্মদিবসে আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারমূল্য ৫১ শতাংশ, আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারমূল্য ৩৮ শতাংশ, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারমূল্য ৩৭ শতাংশ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেডের শেয়ারমূল্য ৩৫ শতাংশ কমেছে।
একইভাবে, আদানি গ্রিন এনার্জি ৪০ শতাংশ, আদানি পাওয়ার ২৩ শতাংশ, আম্বুজা সিমেন্টস ৩৩ শতাংশ, আদানি উইলমার ২৩ শতাংশ, এসিসি ২১ শতাংশ ও এনডিটিভি ১৭ শতাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে।
নিজের কোম্পানির বাজারমূল্যের পাশাপাশি আদানির ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও ক্রমান্বয়ে কমছে। গত সাতদিনে তার সম্পদ কমেছে ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) ডলারের বেশি। এরমধ্যে আজ বুধবার কমেছে ১৩ বিলিয়ন (১ হাজার ৩০০ কোটি) ডলার। এতে করে এশিয়ার শীর্ষ ধনী তালিকার পাশাপাশি বৈশ্বিক তালিকাতেও আদানিকে টপকে সামনে এগিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান বর্তমানে বৈশ্বিক তালিকার নবম স্থানে রয়েছেন।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.