পুলিশের পোশাকে এসেছিল পেশোয়ারের হামলাকারী

পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে বোমা হামলায় জড়িত ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরে ঘটনাস্থলে এসেছিল। খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের আইজি মোয়াজ্জেম জাহ আনসারি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। খবর ডন।

সিসিটিভি ফুটেজে পেশোয়ারে পুলিশ লাইন্সে হামলাকারীর ছবি (গোল চিহ্নিত)

গত সোমবার পেশোয়ার পুলিশ লাইন্স মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের সবাই পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য। বিস্ফোরণে আহত হয় দুই শতাধিক লোক। ঘটনার সময় মসজিদে ৩০০-৪০০ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন বলে কর্মকর্তারা জানান।

হামলার ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে খাইবার পুলিশের প্রধান বলেন, আমরা সন্ত্রাসী চক্রের চারপাশে বৃত্ত গুটিয়ে আনছি। শীঘ্রই তারা ধরা পড়বে। হামলার আগের মুহূর্তের একটি ছবি পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, বোমা হামলাকারী পুলিশের পোশাক পরে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

হতাহত পুলিশ সদস্যদের নিজের সন্তান অভিহিত করে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে আমরা কিছু বল-বিয়ারিং পেয়েছি। আত্মঘাতি হামলাকারীর জ্যাকেটে এগুলো পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, পুলিশ লাইন্সের সিকিউরিটি গার্ডরা হামলাকারীকে সেভাবে চেক করেনি। পুলিশের পোশাক দেখে তারা ভেবেছে নিজেদেরই একজন। বিস্ফোরণ ঘটাতে ১২-১৬ কেজি টিএনটি ব্যবহৃত হয়েছিল। মসজিদ ভবনটি পিলারহীন হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আত্মঘাতি হামলাকারীকে শনাক্ত করেছি। খাইবার রোড থেকে পুলিশ লাইন্স পর্যন্ত তার চলাচলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। মোটরসাইকেল চালিয়ে সে পুলিশ লাইন্সে প্রবেশ করে। তার গায়ে পুলিশের পোশাক, মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। ঘটনাস্থলে যে বিচ্ছিন্ন মস্তক পাওয়া গেছে, সেটাও এক হামলাকারীর।

আইজি বলেন, হামলাকারী ওইদিন বেলা ১২টা ৩৭ মিনিটে পুলিশ লাইন্সে প্রবেশ করে। মূল গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে নিজেদের লোক ভেবে সেভাবে চেক করেনি। পুলিশ লাইন্স গেট পেরিয়ে সে একপাশে মোটরসাইকেল থামায়। এরপর এক কনস্টেবলের কাছে মসজিদ কোথায় জানতে চায়। বুঝা যাচ্ছে এলাকা সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না। তাকে টার্গেট দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। তার পেছনে পুরো একটি নেটওয়ার্ক ছিল।