নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়েছে ২৮ জেলায়

দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় মহাখালীর ‘ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ প্রস্তুত করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ফাইল ছবি

৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান।

‌'নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালের ১৫টি আইসিইউ বেড এবং ১০টি সাধারণ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

সোমবার জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে যাওয়া রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে-

* রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
* রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
* জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে আবশ্যিকভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে।
* জ্বরের সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে।

* আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস, মাস্ক পরলেই হবে। কেননা, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে ওই ভাইরাস ছড়ায় না।

* যেহেতু আইসিইউতে রেখে এই রোগীর চিকিৎসা করা যায়, সে জন্য রেফার করার প্রয়োজন নেই।
* যেকোনও তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের কল সেন্টারে ১৬২৬৩ অথবা ৩৩৩ যোগাযোগ করবেন।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, দেশ নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে আটজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন।