আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ৩৮ হাজার, মৃত্যু ছাড়িয়ে ৫০০০

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়েছে। দুদেশের উদ্ধারকারীরা মঙ্গলবার রাতভর কঠিন ঠান্ডার মধ্যেও অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত মানুষদের উদ্ধারের অভিযান চলছে। এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভূমিকম্পে আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে

গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর অনেকগুলো আফটারশক দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, সময় গেলেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। কারণ উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ধাতব ও কংক্রিটের মধ্যে জীবিত ব্যক্তিদের সন্ধান করছে।

এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, প্রথমটির মতোই আরেকটি শক্তিশালী আফটারশক হয়। এতেই ভবনগুলো ধসে পড়তে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ভবনগুলো ধসে পড়তে দেখা গেছে। উদ্ধারকারীদের সাবধানে কাজ চালাতে হচ্ছে। কারণ কংক্রিটের ভাজে ভাজে জীবিত মানুষ থাকতে পারে। নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছে।

সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৩২ জন হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা এএফএ ডি এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেন, ১১ হাজার ২২টি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মাঠে কাজ করছে। মোট ৭ হাজার ৮৪০ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তাদের অধিকাংশকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি ও আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

সিরিয়ার সরকার ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৬০২ জন নিহত ও ২৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। উদ্ধারকারীরা হাতায় প্রদেশ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য দক্ষিণের বন্দর নগরী মেরসিনে নিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে হতাহতদের টিসিজি ইস্কেন্ডারুন জাহাজে তোলা হয়।

এদিকে ভারত-পাকিস্তানের উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণ সামগ্রী তুরস্কে পৌঁছেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৫০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল সি-১৩০ বিমানে করে সোমবার গভীর রাতে রাওয়ালপিন্ডির চাকলালা এয়ারবেস থেকে যাত্রা করে। তারা ২৫ টন ত্রাণসামগ্রী সাথে নিয়েছে। অপরদিকে ভারত দেশটির বিমানবাহিনীর একটি বিমানে ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম ব্যাচ তুরস্কে পাঠিয়েছে।