নিরাপত্তা গ্যারান্টি পেতেই ছুটে আসেন ইউরোপের নেতারা

আলাস্কা সম্মেলনে ব্যর্থতার পর এবার ওয়াশিংটনে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনসহ ইউরোপের নিরাপত্তায় ন্যাটোর মতোই শক্তিশালী নিশ্চয়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তার এই আশ্বাসে ভর করে ওভাল অফিসে ছুটে আসা ইউরোপীয় নেতা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ট্রাম্পকে।

ছয় মাস আগে এই ওভাল অফিসেই জেলেনস্কিকে তিরস্কার করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে সেই পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। গতবার যেখানে ইউক্রেনের নেতাকে অসম্মানিত হতে হয়েছিল, এবার সেই জেলেনস্কিই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অন্তত দশবার ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে ট্রাম্পকেও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ রূপে দেখা গেছে। হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতা ডেভিড স্যাঙ্গার লিখেছেন, ‘জেলেনস্কি ট্রাম্পকে বলেন, মানচিত্রের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ তবে মানচিত্রটি কে এঁকেছেন বা তাতে ঠিক কী ছিল, তা জানা যায়নি।

বৈঠকে নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরতে ভোলেননি ট্রাম্প। তিনি বেশ কয়েকবার বলেন, ‘আমি ছয়টি যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছি’। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন। এরপর একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথাও বলেন, যেখানে তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন।

ইউরোপীয় নেতারা মূলত জেলেনস্কিকে সমর্থন জানাতে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নিশ্চিত করতে এসেছিলেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ন্যাটোর ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের মতো একটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রত্যাশা করছেন। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ন্যাটোর কোনো একটি সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ হলে তা জোটের সব দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ ট্রাম্প এ বিষয়ে একমত হয়ে জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের জন্য এই বিধানটি ন্যাটোর মতোই হতে পারে।

বৈঠক চলাকালেও ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত ছিল। ওই সময়েও রাশিয়ার হামলায় অন্তত ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এখানে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন যুদ্ধ বন্ধের। আর এটি করতে পারেন পুতিন ও জেলেনস্কি। তবে এই মুহূর্তে তা ঘটছে না।’

সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস