পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওথমান জেরান্ডিকে বরখাস্ত করেছেন। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত দেশটিতে এনিয়ে চারজন মন্ত্রী পদ হারালেন। প্রেসিডেন্সি তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে ওই মন্ত্রীর বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন। আল আরাবিয়া নিউজ।

তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওথমান জেরান্ডি

দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রদূত নাবিল আম্মার। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন বরখাস্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।

সাইদ এ বছর তার বাণিজ্য, কৃষি এবং শিক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করে নতুন মন্ত্রী বসিয়েছেন। জেরান্ডি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দেশটিতে কাইস সরকারের অন্তর্ভুক্ত যে কয়জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে জেরান্ডি সবচেয়ে সিনিয়র।

২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ নাটকীয়ভাবে ক্ষমতা দখল করেন। এরপর থেকে তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক বিভাজন গভীরতর হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একমত হতে পারেনি।

সাইদ ক্ষমতায় বসেই সরকারকে বরখাস্ত করেন। পরে তিনি সংসদ স্থগিত করেন এবং সুদূরপ্রসারী নির্বাহী ক্ষমতা দখল করেন। গত বছরের জুলাই মাসে একটি গণভোটে নতুন সংবিধান প্রবর্তন করেন। গণভোট প্রত্যাখ্যান করে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো বিক্ষোভ করে।

তিউনিসিয়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন। শিক্ষক এবং পরিবহন শ্রমিকরা বারবার বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি পালন করেছে। দেশটির সাধারণ মানুষ চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। দুধসহ মৌলিক খাদ্যপণ্যের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বিরোধীদলগুলো বয়কটের ডাক দেওয়ার পর দাঁতবিহীন আইনসভার বৈধতা পেতে গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফা ভোটের আয়োজন করা হয়। এই ভোটে তিউনিসিয়ানদের মাত্র ১১.৪ শতাংশ ভোটার অংশ নিয়েছিল। এরপর থেকে জনগণের অসন্তোষ সাইদ সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করেছে।

অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ঋণ পেতে দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে আলোচনায় বসেছে।