জব্দকৃত অর্থ ফেরত পেলেন পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার দেশটির জবাবদিহিতা কমিশন (এনএবি) কর্তৃক জব্দকৃত তার ব্যক্তিগত অর্থসম্পদ ফেরত পেয়েছেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজিরা না দিয়ে দেশ ছেড়ে পলায়ন করায় ২০১৭ সালে এনএবি তার এসব অর্থ জব্দ করেছিল।

চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ইসহাক দার

পাঞ্জাব প্রদেশে মুসলিম লীগের (নওয়াজ) নেতৃত্বাধীন কেয়ারটেকার মন্ত্রিসভা গতকাল একই দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ৫০৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন (৫০ কোটি ৬৭ লাখ) রুপি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।

এনএবির পক্ষ থেকে লাহোরের ডিসিকে ইসহাক দারের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হলে ডিসি অফিস থেকে মন্ত্রিসভাকে এ বিষয়ে নোট পাঠানো হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা ইসহাক দারের ব্যাংক হিসাবে ওই অর্থ পুনর্বহাল করে।

এর আগে ২৯ ডিসেম্বর এনএবির নির্দেশনার প্রেক্ষিতে লাহোর নগর প্রশাসন ইসহাক দারকে গুলবার্গের হাজভেরি হাউস নামের অভিজাত বাসভবন ফেরত দেয়।

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও ব্যবসায়ী ইসহাক দার এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৮-১৯৯৯ সময়কালে নওয়াজ শরীফের মন্ত্রিসভায় তিনি প্রথমবার অর্থমন্ত্রী হন। ২০০৮ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির ইউসুফ রাজা গিলানির মন্ত্রিসভাতেও তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১৩-২০১৭ সময়কালে মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভায় তিনি আবার অর্থমন্ত্রী হন। গতবছর ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুসলিম লীগের শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হলে ইসহাক দার আবার ওই পদে ফিরে আসেন।

২০১৭ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইসহাক দারের বিরুদ্ধে মামলা করে জাতীয় জবাবদিহিতা কমিশন (এনএবি)। মামলার শুনানিতে হাজিরা না দিয়ে তিনি দেশ ছাড়লে এনএবি আদালত লাহোর ও ইসলামাবাদে তার ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লাহোর ও ইসলামাবাদে চারটি বাড়ি, দুবাইয়ের জুমেইরাহ বিচে একটি বাড়ি ও এমিরেটস হিলসের একটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেয়।

গতবছর মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসার পর এনএবি আদালতের এখতিয়ার খর্ব করতে আইন সংশোধন করা হয়। এরপর ইসহাক দার পাঁচ বছরের স্বেচ্ছানির্বাসন শেষে দেশে ফেরেন। সংশোধিত আইন অনুযায়ী এনএবি আদালত তাদের কাছে থাকা বিচারাধীন মামলাগুলো এনএবির নির্বাহী বিভাগের কাছে ফেরত পাঠালে ইসহাক দারের সম্পদ অবমুক্ত করার পথ তৈরি হয়। সেপ্টেম্বরে ইসহাক দার অর্থমন্ত্রী হন। ডিসেম্বর থেকে তার সম্পদ ফেরত আসতে থাকে।