রিজার্ভ চুরি: তদন্ত রিপোর্ট পেছাল ৭০ বার

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হওয়ার সাত বছর হতে চললো। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। একের পর এক প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে। সবমিলিয়ে ৭০ বারে এসেও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আগামী ৪ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আগামী ৪ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছে ঢাকার একটি আদালত

মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রায়হান উদ্দিন খান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় এ আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।

জানা গেছে, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে এক দল হ্যাকার। এ ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত শেষ করতে এখন পর্যন্ত ৭০ বার সময় নেওয়া হয়েছে।

পরে জানা গেছে, ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে চুরি হওয়া রিজার্ভের অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে পরে ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে সেই অর্থ ব্যয় করা হয়।

রিজার্ভ চুরির পর ওই বছরের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক (হিসাব ও বাজেট) জোবায়ের বিন হুদা। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরসিবিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংক থেকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে শুনানি শেষে দেশটির আদালতে রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে চুরি হওয়া বাকি অর্থ ফিরে পেতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।