সুইডেন-ফিনল্যান্ডের অনুমোদন চাইবেন ন্যাটো প্রধান

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফর করবেন। এই সফরে তিনি সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্য হতে করা আবেদনগুলো অনুমোদন করার জন্য তুরস্ককে চাপ দেবেন বলে জানা গেছে। খবর ডেইলি সাবাহ

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও জেনস স্টলটেনবার্গ

১৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় যাবেন স্টলটেনবার্গ। এরপর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চলে যাবেন। এছাড়া তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত ছাভুসোলুর সাথেও বৈঠক করবেন তিনি।

সফরের সময় ন্যাটো কীভাবে তুরস্ককে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করতে পারে সে বিষয়ে তুর্কি নেতাদের সাথে তিনি আলোচনা করবেন। ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, তিনি ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে তুরস্ককে এয়ারলিফটের পাশাপাশি আরও তাঁবু এবং মানবিক সাহায্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য যে আবেদন করেছে তাতে অনুমোদন দেওয়ার জন্যও তিনি তুরস্কের প্রতি অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ।

১৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার ন্যাটো মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি এই দুটি দেশকে একসাথে অনুমোদন দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছি। তবে দিন শেষে এটি তুরস্কের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে তারা একই সময়ে উভয় দেশকে অনুমোদন করবে কি না।'

গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিল সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কুর্দি সংগঠন পিকেকে এর সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে দেশদুটির আবেদন অনুমোদন করেননি।

পরবর্তীতে এই ৩টি দেশের মধ্যে আলোচনার পর অবশেষে তুরস্ক উভয় দেশের সদস্যপদের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়েছিল। কিন্তু সুইডেন ডানপন্থী রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদানকে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার পর এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, যারা কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয় তাদের কোনোভাবেই অনুমোদন দেবেন না তিনি। তবে ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে তার কোনো আপত্তি নেই।