পশ্চিমাদের বোকা বানাচ্ছে পুতিনের যে ব্যর্থতা

রাশিয়ার নতুন আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৬ হাজার কামানের গোলা নিক্ষেপ করছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। এভাবেই ইউক্রেনকে দিয়ে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পরামর্শ দিচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, রামিয়ার বিরুদ্ধে এভাবে গোলাবারুদ ব্যবহার করলে ইউক্রেন-বাহিনীর গোলাবারুদ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে, যদি না তারা এটি আরও সংযতভাবে ব্যবহার করে।

তার মন্তব্য একটি অপরিহার্য সত্যের কথা মনে করিয়ে দেয় যে, একটি বর্ধিত সময়ের জন্য গোলাবারুদ টিকিয়ে রাখা এবং সেগুলোকে পুনরায় ব্যবহার করার ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জয়লাভ করতে কতটুকু সাহায্য করে।

আপাতদৃষ্টিতে অপ্রতিরোধ্য রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রাথমিক সাফল্য পরামর্শ দেয় যে, উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র, কৌশল এবং স্থাপনায় ক্ষিপ্রতা- বৃহত্তর বাহিনীকে পরাস্ত করার জন্য যথেষ্ট।

সাইবার, কম্পিউটার, চালকবিহীন যানবাহন- ড্রোন এবং রেঞ্জার ইউনিটে বিনিয়োগ করা উচিত মূলত প্রচলিত অস্ত্রের পরিবর্তে সহযোগীদের প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী এটি আগেই প্রমাণ করেছে।

তবে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ যা দেখিয়েছে, তা-ই যথেষ্ঠ নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি বিপর্যয়কর হবে যদি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যর্থতা পশ্চিমাদের বোকা বানায় যে, সামরিক শক্তি অতীতের জিনিস।

কেবল সামরিক শক্তি দিয়ে তার বাহিনী সেভাবে লড়াই করেনি, কারণ তারা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং সৈন্যদের ব্যাপক ব্যবহারের উপর নির্ভর করেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

ইউক্রেনের পক্ষে সাইবার এবং ড্রোন একটি ভূমিকা পালন করেছে, ইলেকট্রনিক বুদ্ধিমত্তা এবং বায়ুবাহিত নজরদারিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ভারী অস্ত্র, যেমন: হিমারাস, যা রুশ ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষভাবে বিধ্বংসী, এগুলো সত্যিকারের গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করতে পারে।

একইভাবে, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া পদাতিক যুদ্ধের যানগুলো অবিরাম যুদ্ধের উপযোগিতা দেখিয়েছে, যে কারণে তারা সামরিক সহায়তার জন্য জেলেনস্কির তালিকার শীর্ষে রয়েছে এখনও।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফে ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার প্রকাশিত অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ কর্নেল রিচার্ড কেম্পের কলাম থেকে