বেলুনকাণ্ডের পর ২ শীর্ষ কূটনীতিকের বৈঠক

বেলুনকাণ্ডে টানাপোড়েন সৃষ্টি হওয়ার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিকরা মুখোমুখি বৈঠক করেছেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বৈঠক করেন। গতকাল শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ডয়েচে ভেলের খবর।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ওয়াং ই

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে পারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ও চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মুখোমুখি বৈঠক করেছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্দেহজনক চীনা বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হওয়ার পর বৈঠকটি ছিল মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তাদের প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিডিয়া থেকে দূরে একটি অজ্ঞাত স্থানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বেলুন ঘটনার কারণে বেইজিং সফর বাতিল করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। দুই দেশের মধ্যে বিতর্কের একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বেলুনের ঘটনা। জার্মানির ওই সম্মেলনে দুদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল।

ভূপাতিত করা চীনা নজরদারি বেলুন

চীনা বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করার পর বেইজিং কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে জানায়, চীনা বেলুনে গুলি করে ওয়াশিংটন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছে। অবশ্যই এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এনিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

পেন্টাগন জানিয়েছিল, বেলুনে গুলি করার আগে চীনের সাথে কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পেন্টাগনের এই বক্তব্য বেইজিং অস্বীকার করে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, বেইজিংকে জানিয়েই বেলুনে গুলি করা হয়েছে। তবে তিনটি বেলুন চীনা নজরদারি বেলুন ছিল না বলে পরবর্তীতে স্বীকার করে পেন্টাগন।