ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৪৬ হাজার

তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে ৪৬ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তুরস্কে প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৮৪ হাজারের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। গালফ টাইমসের খবর।

তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ভেঙে যাওয়া অ্যাপার্টমেন্ট

তুরস্ক যখন সবচেয়ে খারাপ সময়ে আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করার চেষ্টা করছে, তখন সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে।

ভূমিকম্প আঘাত হানার ১২ দিন পর কিরগিজস্তানের কর্মীরা দক্ষিণ তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি সিরিয়ান পরিবারকে উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ তিনজন জীবিত ছিল। তবে উদ্ধারের পর পানিশূন্যতায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।

উদ্ধারকারী দলের সদস্য আতায় ওসমানভ রয়টার্সকে বলেন, আমরা যখন খনন করছিলাম তখন চিৎকার শুনেছিলাম। জীবিত মানুষের খোঁজ পেলে আমরা সবসময় খুশি থাকি। আমরা চিৎকার করে বলছিলাম, আপনি যদি আমার কণ্ঠস্বর শুনতে পান তবে একটি গভীর শ্বাস নিন।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সেজার বলেছেন, রোববার রাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। তুরস্কে ৪০ হাজার ৬৪২ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সের সাথে কথা বলার সময় ডব্লিউএফপির পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেন, সিরিয়া ও তুর্কি সরকার খুব ভালোভাবে সহযোগিতা করছে। কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিসলে বলেন, আমাদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ক্রস-লাইন অপারেশন চলমান থাকায় উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রয়োজনীয় প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। আমাদের ত্রাণ সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করছে। আমাদের সময় ও টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা শনিবার বলেছেন, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়লেও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টির মতো কিছু হয়নি। আমাদের অগ্রাধিকার সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা।