কালশী উড়ালসড়কে রিকশা-ইজিবাইক!

আজ সকালে কালশী উড়ালসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর কয়েক ঘণ্টা না যেতেই সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই উড়ালসড়ক দিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। এমনকি সড়কে ভ্যানগাড়িতে করে পেয়ারা, আনারস ও আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা গেছে।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই উড়ালসড়ক দিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক

আজ দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উড়ালসড়কটির যে অংশ পল্লবীর দিকে নেমেছে, সেই পথ দিয়ে উল্টো পথে যাত্রী নিয়ে উঠছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। তবে ট্রাফিক পুলিশের কোনও সদস্য বা কর্মকর্তাকে এখানে দেখা যায়নি। এতে চলাচলে বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছে। এমনকি যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে।

এ নিয়ে মোটরসাইকেল, পিকআপ, প্রাইভেটকারের চালকদের সঙ্গে রিকশাচালকদের বাগবিতাণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে মূলত উড়ালসড়ক ঘুরে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারা রিকশায় উঠেছেন। উড়ালসড়ক হয়ে কালশী থেকে পল্লবী নতুন থানার দিক যেতে জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা নিচ্ছেন রিকশাচালকরা। কেউ আবার উড়ালসড়কের ওপরেই নেমে পড়ছেন। সেখান থেকে আবার যাত্রী নিয়ে নামছে রিকশাগুলো। এতে রিকশার জটলা সৃষ্টি হচ্ছে।

উড়ালসড়কের কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএস অংশ যেখানে বিভক্ত হয়েছে, সেই মোড়ে বসেছে পেয়ারা, আনারস ও আইসক্রিম ভ্যান। সেখানে রায়হান মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী আনারস বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন সড়ক হওয়ায় অনেকে বেড়াতে আসবে ভেবে বিক্রির আশায় উড়ালসড়কে উঠে এসেছি।'

উড়ালসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। তারপরও এখানে কেন চলছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য জানান, ‘রিকশা চলায় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেউ কথা শুনছে না। কতজনকে বারণ করা সম্ভব বলেন?’