আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে ইসরায়েলি কূটনীতিক বহিস্কার

ইথিওপিয়ায় অনুষ্ঠেয় আফ্রিকান ইউনিয়নের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন থেকে ইসরায়েলের এক কূটনীতিককে বের করে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী একাধিক দেশের আপত্তি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। খবর আল জাজিরা।

শনিবার ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছে

১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে সম্মেলন স্থলে অডিটোরিয়ামের বাইরে নিরাপত্তা কর্মীদের সামনে দিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা বিষয়ক উপ মহাপরিচালক শ্যারন বার-লি হাঁটাহাঁটি করছেন।

ওই কূটনীতিককে অপসারণের কারণ হিসাবে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মুখপাত্র এবা কালোন্ডো বলেছেন, তিনি ইথিওপিয়ার স্বীকৃত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ছিলেন না। তিনি মূলত একজন কর্মকর্তা ছিলেন।

পরে আফ্রিকান ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, যে কূটনীতিককে 'বের করে দেওয়া হয়েছিল' তাকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শুধুমাত্র আফ্রিকান ইউনিয়নে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আলেলি আদমাসুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

'এটি দুঃখজনক যে একজন প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তি এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে নিয়মের অপব্যবহার করবে' বলে যোগ করেন এ কর্মকর্তা।

এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, 'একজন স্বীকৃত পর্যবেক্ষক হিসাবে আফ্রিকা বিষয়ক উপ-পরিচালক রাষ্ট্রদূত শ্যারন বার-লির প্রবেশ ব্যাজ থাকা সত্ত্বেও আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন হল থেকে তাকে অপসারণ করা দুঃখজনক। এ ঘটনাকে ইসরায়েল কঠোরভাবে দেখছে।'

ইসরায়েল এই ঘটনার জন্য ৫৫ দেশের এ জোটে ব্লকের দুটি প্রধান দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আলজেরিয়াকে দায়ী করেছেন। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আফ্রিকান ইউনিয়নে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করেছে তেলআবির।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তিরস্কারের জন্য তলব করা হবে। এদিকে ইসরায়েলের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইসরায়েলকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ক্লেসন মনিয়েলা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, 'আফ্রিকান ইউনিয়নে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনি  কাউকে বসে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন না।'

'সুতরাং এটি দক্ষিণ আফ্রিকা বা আলজেরিয়ার বিষয় না, এটি একটি নীতিগত সমস্যা' বলে উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।