জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের তালিকায় শীর্ষে চীন

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি বৈশ্বিক অঞ্চলের মধ্যে ১৬টিই রয়েছে চীনে। দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অবস্থিত। এর মধ্যে কয়েকটি এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির স্তর উপরে উঠে আসছে। পাশাপাশি রয়েছে চরম আবহাওয়াগত ঝুঁকি। আজ সোমবার প্রকাশিত একটি জরিপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। স্ট্রেইটস টাইমসের খবর।

চীনে চিমনিতে উড়ছে ধোয়া

তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে স্থান পেয়েছে, অর্থাৎ তালিকার শীর্ষে রয়েছে শিল্পোন্নত চীনা উপকূলীয় প্রদেশ জিয়াংসু। প্রদেশটির অর্থনীতি চীনের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ। তারপরেই রয়েছে প্রতিবেশী প্রদেশ শানডং এবং হেবেইয়ের প্রধান ইস্পাত উৎপাদন অঞ্চল।

চীনের বাইরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ফ্লোরিডা। এর স্থান ১০ নম্বরে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ১৯তম ও নিউইয়র্ক ৪৬তম অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষ ৫০ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ভারতের ৯টি অঞ্চল।

এক্সডিআই এর জলবায়ু ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা বিশ্বব্যাপী ২ হাজার ৬০০টিরও বেশি অঞ্চলের মূল্যায়ন করেছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব কতখানি অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে তা জরিপে তুলে ধরা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত শতাব্দীর শেষের দিকে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির ঘটনাটি ভিত্তি করে গবেষণা করা হয়েছে।

জরিপে বলা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যয়কর বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীর বন্যা এবং দাবানল চরম ক্ষতি ডেকে এনেছে। কারণ এগুলো সম্পত্তির দামকে হ্রাস করতে ও বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

এক্সডিআই এর প্রধান নির্বাহী রোহান হ্যামডেন সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর উল্লেখযোগ্য প্রভাব উপলব্ধ হচ্ছে এবং এগুলো কেবল বাড়বে। তবে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, জলবায়ুর কারণে যাতে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

হ্যামডেন বলেন, বৈশ্বিক উৎপাদন এখন এশিয়ার দিকে ঘুরে যাচ্ছে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হলেও চীন জুড়ে ইতোমধ্যেই অবকাঠামো বিনিয়োগ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য এলাকাগুলো দিন দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।