মলদোভায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে

মলদোভায় জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির ক্রমাগত উদ্ধগতির মধ্যে নাগরিকদের শীতকালীন গরম করার বিল পরিশোধের দাবিতে গতকাল রোববার হাজার হাজার মানুষ দেশটির রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। খবর ইউরো নিউজের।

ফাইল ছবি

জনগণের জন্য আন্দোলন নামে একটি গোষ্ঠী বিক্ষোভটি সংগঠিত করে এবং মলদোভার রাশিয়া সমর্থিত শোর পার্টি বিক্ষোভকে সমর্থন করে। দলটি সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের আইনসভায় ছয় আসন পাবার ইতিহাস রয়েছে।

এদিন বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের আহ্বান জানায়। তারা স্লোগান দেয়, মাইয়া সান্দুর পদত্যাগ চাই।
এখানকার বাসিন্দাদের আয়ের ৭০ শতাংশের বেশি জ্বালানি বিল দিতে ব্যয় হয়।

রোববার মলদোভার পার্লামেন্টের সামনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। তারা তাদের দারিদ্র্য ও হতাশার নানা গল্প নিয়ে হাজির হন।

বিক্ষোভকারী অলা বলেন, আমার পেনশনের অর্ধেক সরকার গ্রাস করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বাচিত হওয়ার আগে বেতন এবং পেনশন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। আমরা এখন পর্যন্ত তা পাইনি।

বেরেনচি বলেন, রাশিয়া মলদোভা দখল করতে চাইলে তারা অর্ধেক দিনের মধ্যে তা করতে পারবে। এমন হলে তিনি রাশিয়াকে স্বাগত জানাবেন বলেও জানান।

এর আগে,দেশটির প্রেসিডেন্ট মায়া সান্দু অভিযোগ করেন, রাশিয়া নাশকতাকারীদের ব্যবহার করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মলদোভার বর্তমান ইইউ-পন্থি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার চক্রান্ত করছে।

সান্দুর বলেন, এ বিক্ষোভ আয়োজনের মাধ্যমে সরকার পতনের চক্রান্তে জড়িত হয়েছে বিরোধীরা। মলদোভাকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া এবং কিয়েভের গোয়ন্দা সংস্থা এ তথ্য পেয়েছে বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেন ও রোমানিয়ার মাঝে ছোট্ট দেশ মলদোভা গত গ্রীষ্মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আবেদন করে। দেশটির মোট জনসংখ্যা ২৬ লাখ।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছে প্রচুর মানুষ । সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ মলদোভা প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল।