ইউক্রেন যুদ্ধেই পুতিনের অবসান!

ইউক্রেন যুদ্ধ পুতিনের শাসনের অবসান ঘটাতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভ্লাদিমির পুতিন তার জন্মস্থান সেন্ট পিটার্সবার্গে ছেলেবেলা কাটিয়েছেন। সেখানে ঝগড়া থেকে শিখেছিলেন, ‌‌’আপনি যদি একটি লড়াইয়ে জিততে চান তবে তা শেষ পর্যন্ত চালাতে হবে, জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধ হিসেবেই তা ধরে নিতে হবে।’ এপির বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক জীবনীতে উদ্ধৃত ওই পাঠটি ইউক্রেনে কাজে লাগাচ্ছেন পুতিন। ইউক্রেনে সাময়িক বিপর্যয় এবং অচলাবস্থার সম্মুখীন হওয়ার পর ছেলেবেলার ওই ঘটনা তাকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। ক্রেমলিনের শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে তিনি গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, এক মিনিটের মধ্যে জয়ী হওয়ার ক্ষমতা আছে তার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মস্কোর জন্য প্রেরণাদায়ক স্ট্যালিনগ্রাদের যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকীতে পুতিন বলেছিলেন, মাতৃভূমি এবং সত্যের জন্য অসম্ভবকে সম্ভব করার ইচ্ছা সবসময়ই তার ছিল। আমাদের বহুজাতিক মানুষের চরিত্র রক্তে ছিল এবং থাকবে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত পুতিনের যুদ্ধটি বুমেরাং হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই যুদ্ধই তার দুই দশকেরও বেশি দীর্ঘ শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ সাংবাদিক ফিলিপ শর্ট বলেন, আক্ষরিক অর্থে তিনি যা করতে চেয়েছিলেন, করেছিলেন, তা বিপর্যয়করভাবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, পুতিন জাতিগত রাশিয়ানদের রক্ষা করার নামে কিয়েভে হামলা শুরু করেন। ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ রোধ করতে চেয়েছেন তিনি। ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ডি-নাজিফিকেশন করতে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন। তার দাবি, ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা আগ্রাসনকে উসকে দিয়েছে।

পুতিন ২০২১ সালের জুলাই মাসে ৫ হাজার শব্দের একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি একটি জাতি হিসাবে ইউক্রেনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং রুশ অধ্যুষিত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা কাজে লাগাতে চান।