ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে ইরাকের ‘না’

ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী নয় ইরাক। ইরাকের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন গত সোমবার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

ইরাকের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন

সম্প্রতি ফুয়াদ হোসেন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। গুঞ্জন ওঠে, ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য ওয়াশিংটন থেকে ফেরার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফুয়াদ হোসেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার খবর অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে এ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক ব্লক থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিষয়টি সম্পর্কে কোনো কিছু শুনিনি। এ সম্পর্কে যেসব রিপোর্ট করা হয়েছে, তার পুরোটাই সঠিক নয়। সবাই ইরাকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানে। আর এটা স্পষ্ট যে, এই ধরনের ইস্যু কখনোই প্রস্তাব করা হয়নি।

ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না ইরাক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় এ পর্যন্ত চারটি মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে তাদের অনুসরণ করে মরক্কো ও সুদান। আরও কিছু দেশ তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে ইরাক যেনো কখনোই এই পথ অনুসরণ করতে না পারে সে জন্য দেশটির পার্লামেন্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ’ শিরোনামে পাশ করা একটি আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বিজ্ঞানগত সহযোগিতা নিষিদ্ধ। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ বা এ ধরনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ আইন লঙ্ঘনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।

ইরাকের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এক বিবৃতিতে তারা মন্তব্য করে, ইরাকের সময়োপযোগী এ পদক্ষেপ ইরাকি জনগণের সততা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের ঐতিহাসিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করেছে।

অন্যদিকে ইরাকের পার্লামেন্টে এ আইন পাসের খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ইসরায়েল। আইনটিকে বাস্তবতা বিবর্জিত উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানায় তেল আবিব।