তুরস্কে ভবন ধস: বাড়ছে গ্রেপ্তার

তুরস্কে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এসব ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে তুর্কি সরকার। গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পরে দক্ষিণ তুরস্কে ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর তদন্তে প্রায় ১৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের একটি এলাকা

বিচারপতি নিনিস্টার বেকির বোজদাগ সিএনএন তুর্ককে বলেন, ভূমিকম্পের তদন্তের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৫৮৩ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৯৭ জনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ১৭১ জনের মধ্যে ৭৮ জন ঠিকাদার, ৬৪ জন বিল্ডিং সুপারভাইজার, ১১ জন বিল্ডিং মালিক। ভবনের ঠিকাদার, মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, শ্রমিক এবং মাস্টার শ্রমিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তুর্কি বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনগুলোতে যাদের দায়িত্ব ছিল, তাদের সবাইকে দায়িত্ব অনুসারে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। বিনা দ্বিধায় যে কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানা তিনটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘরবাড়িহারা মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তুর্কি সরকার। ইতোমধ্যে দুই দেশ মিলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৪৯ হাজার ৩০০ জনের।

ভূমিকম্পে এখনও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, কারণ ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন করে ৬.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের আঘাতে বিধ্বস্ত প্রদেশ হাতায় ফের বিপর্যয় ঘটিয়েছে। এতে আরও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসযজ্ঞ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লুর মতে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫৫৬ জনে পৌঁছেছে। সিরিয়ায় ৫,৮০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

ইইউর নিষেধাজ্ঞা শিথিল: বিধ্বংসী ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহ পর সিরিয়ায় ত্রাণ বিতরণ ত্বরান্বিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোতে সরবরাহ এবং পরিষেবা পাঠানোর আগে সাহায্য সংস্থাগুলোকে আর ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে না। এই নির্দেশনা ছয় মাস স্থায়ী হবে।