উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা, জরুরি বৈঠকে কিম

উত্তর কোরিয়ায় খাদ্যঘাটতি এবং মানবিক সংকটের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশেটির অর্থনীতি ও কৃষি খাতের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য ক্ষমতাসীন দলের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক বসেছেন কিম জং-উন। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বরাত দিয়ে সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কিম জং উন

এদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির উপর পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা এবং কোভিড-১৯ এর সময় লকডাউনের কারণে দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, গেল রোববার দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির সপ্তম বর্ধিত সভার তত্ত্বাবধান করেছেন কিম। এতে দেশটির গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, সভার প্রথম দিনেই প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো অনুমোদন হয়েছে। বৈঠক চলমান রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল যে, 'কৃষির উন্নয়নের জন্য সঠিক কৌশল প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।'

এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার খাদ্য পরিস্থিতির অবনতি কথা বিশ্ব গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। একই মাসে পিয়ংইয়ংয়ের জরুরি বৈঠক প্রামাণ করে দেশটি গুরুতর খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। সিউলের কর্মকর্তারা বৈঠকের দিকে ইঙ্গিত করে এমটাই বলেছেন।

উত্তর কোরিয়ার উপর নজরদারি করা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ৩৮ নর্থ প্রোগ্রাম গেল মাসে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, 'উত্তর কোরিয়ায় মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে দেশটি সম্ভবত একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ১৯৯০ এর দশকের দুর্ভিক্ষের পর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশটি।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। সেইসঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করোনার কারণে জারি করা লকডাউনে দেশটির বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশটির অর্থনীতিতে মারাত্মক ধস দেখা দিয়েছে।