ইংলিশ লিগেও আসছে নতুন নিয়ম

গত বছরের শেষ দিকে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন হয়েছে। টুর্নামেন্ট সাক্ষী হয়েছে অনেক নতুন কিছুর। যার একটি ছিল অতিরিক্ত সময়। একেকটি ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশি খেলা হয়েছে। বেশির ভাগ খেলা হয়েছে ১০০ মিনিট পর্যন্ত। যেটি অনেককেই বিস্মিত করেছিল।

রোববার রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিভারপুল 

এটি ছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পরিকল্পনা। যা কাতারে বাস্তবায়ন হয়েছে। অবশেষে কাতার বিশ্বকাপের পথে হাঁটতে যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও। লিগে আগামী মৌসুম থেকে অতিরিক্ত সময় বেশি নির্ধারণ করা হচ্ছে। খেলা হবে ১০০ মিনিটের।

ফুটবলে সাধারণত দুই অর্ধে ৪৫ মিনিট করে ৯০ মিনিট খেলা হয়ে থাকে। দুই অর্ধে দুই-চার কিংবা পাঁচ-ছয় মিনিট অতিরিক্ত সময় হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়। বিশেষ কোনো ঘটনায় সময় নষ্ট হলে বর্ধিত অতিরিক্ত সময় দিয়ে থাকেন রেফারিরা। কিন্তু ইংলিশ লিগে উঠে যাচ্ছে এই প্রথা।

ইংলিশ লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুম থেকে প্রতিটি ম্যাচ হবে অন্তত ১০০ মিনিটের। এক্ষেত্রে দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত সময় বেশি দেওয়া হবে। ম্যাচে বিশেষ কোনো ঘটনায় সময় নষ্ট হলে খেলা হতে পারে ১০০ মিনিটেরও বেশি। রোববার রাতে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্পোর্টস বাইবেল।

২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ অবশ্য সাধারণ নিয়মেই খেলা হয়েছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০ টুর্নামেন্টেও তাই। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে ওই দুটি টুর্নামেন্টের চেয়ে ম্যাচ প্রতি গড়ে চার-পাঁচ মিনিট বেশি সময় খেলা হয়েছে। ২২তম বিশ্বকাপে কিছু ম্যাচ তো ১০০ মিনিটও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

গত বিশ্বকাপে ৬২ ম্যাচের ৪৩টিতেই ১০০ মিনিট পর্যন্ত খেলা হয়েছে। আসরে সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট হয়েছিল ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচে। ম্যাচটি ১১৭ মিনিট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ভিএআর, খেলোয়াড় অদল-বদল, পেনাল্টি, লাল কার্ড, গোল উদযাপন এবং খেলোয়াড়দের মানসিকতার কারণেই মূলত মূল খেলার সময় নষ্ট হয়ে থাকে।

অনেক সময় মাঠে অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটে। দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়া, খেলোয়াড়দের বিবাদে জড়িয়ে পড়া- এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই ঘটে থাকে। এসবকিছু মাথায় রেখেই কাতার বিশ্বকাপের পথ বেছে নিতে যাচ্ছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ।

ম্যাচে নষ্ট হয়ে যাওয়া সময় উদ্ধার করাতেই এই প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে সম্প্রতি লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল এফএ বোর্ডের বার্ষিক সভায় ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আমরা সময় অপচয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই; ভক্তদের বিনোদন দিতে চাই। আমরা দেখেছি গত বিশ্বকাপে কিছু ম্যাচে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।’