যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সুনাক, লক্ষ্য চীনকে মোকাবেলা

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আজ রোববার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে দেখা করবেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। এই চুক্তিকে চীনকে মোকাবেলার পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডের খবর।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

বার্তা সংস্থা এপিকে সুনাক বলেছেন, বর্তমান সময়টা বড় অস্থির। সুতরাং বৈশ্বিক জোটগুলো যুক্তরাজ্যের শক্তি ও নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় উৎস। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অকাস (এইউকেইউএস) পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি সম্পন্ন করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সান দিয়াগোতে তিন দেশের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল।

তিনি বলেন, সাবমেরিন চুক্তিটি এমন এক প্রকল্প, যা মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। চুক্তিটি সম্পন্ন হলে নিরাপত্তা, নতুন প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করবে যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে চীনকে মোকাবেলায় চুক্তিটি খুবই সহায়তা করবে।

আগামীকাল সোমবার নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র নীতির একটি আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করবে যুক্তরাজ্য। এটি ‘ইন্টিগ্রেটেড রিভিউ‘ নামে পরিচিত। ক্রমবর্ধমান হুমকির বিশ্বে যুক্তরাজ্য কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নির্ধারণ করা রয়েছে ওই নীতিতে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি মোকাবেলায় ২০২১ সালে প্রতিরক্ষা জোট অকাসের সূচনা হয়েছিল। সান দিয়াগোর বৈঠকটি অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে এক ধাপ অগ্রগতি বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিটির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনের প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা দিতে সম্মত হয়। চুক্তিটি সম্পন্ন হলে অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক সাবমেরিনের অধিকারী হবে।

অকাস প্রতিষ্ঠার সময় অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করায় দুদেশের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। ওই সময় ম্যাক্রোন ও মরিসনের মধ্যে কথা বলাবলিও বন্ধ হয়ে যায়। পরে মরিসন নির্বাচনে হেরে গেলে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় বসেন আলবানিজ। এখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।