আর্সেনালে পর পিএসজি, বিপাকে কার্দাশিয়ান

কিম কার্দাশিয়ান। বিখ্যাত মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও ব্যবসায়ী। ইন্সটাগ্রামে তাকে অনুসরণ করেন প্রায় সাড়ে তিন শ’ মিলিয়ন মানুষ। জনসম্মুখে এমন একজন তারকার উপস্থিতি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। তা সেটা যেখানেই হোক। কিন্তু আজকাল ফুটবল মাঠে তাকে বেশি দেখা যাচ্ছে।

পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ড নেইমার জুনিয়রের ভক্ত কিম কার্দাশিয়ান

এই তো কিছুদিন আগে আর্সেনাল-স্পোর্টিং লিসবন ম্যাচ দেখতে লন্ডনের এমেরিটেস্ট স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন কিম। একা নন, তিন বাচ্চাকে আর্সেনালের জার্সি পরিয়ে গ্যালারিতে হাজির হন তিনি। কিন্তু কিম এবং তার বাচ্চাদের সমর্থন কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে যায় আর্সেনাল।

গত শনিবার আবারও গ্যালারিতে দেখা গেল মার্কিন অভিনেত্রীকে। এবার তিনি প্যারিসে; পার্ক ডু প্রিন্সেসে। দুর্ভাগ্য কিমের। প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) জন্য গলা ফাটিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে ঘরের মাঠে রেঁনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে যান লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা।

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ৩৫ ম্যাচ পর ঘরের মাঠে হেরেছে পিএসজি

পিএসজি খেলোয়াড়দের মধ্যে নেইমার জুনিয়রকে পছন্দ কার্দাশিয়ানের। চোটের কারণে এই মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। গ্যালারিতে নেইমারের জার্সি নিয়ে ফটোসেশন করতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তিনি প্যারিসে গিয়েছিলেন তা পূরণ হয়নি তার। হেরে গেছে পিএসজি।

প্যারিসিয়ানরা হেরে যাওয়া এমনিতেই মন খারাপ কিমের। মেসিদের সমর্থন দিয়ে এখন উল্টো বিপাকে পড়েছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হচ্ছেন মার্কিন সেনসেশন। তাকে নিয়ে বানানো হচ্ছে মিম। কিমকে ‘কুফা’ সমর্থক বলে আখ্যা দিচ্ছেন নেটিজেনরা। কারণ গ্যালারিতে উপস্থিতি থেকে তিনি যাদের সমর্থন দিচ্ছেন তারাই হেরে যাচ্ছেন।

অথচ এই ম্যাচের আগে লিগে ঘরের মাঠে ৭১৫ দিন অপরাজিত ছিল পিএসজি। তাতেই থেমে গেল ৩৫ ম্যাচের অজেয় যাত্রা। কিম যেই মাঠে গেলেন অমনি হেরে গেল পিএসজি। বিষয়টি কাকতালীয় হলেও ভালোভাবেই নজরে এসেছেন সবার। ৪২ বছর বয়সী এখন কিমকে এখন প্রতিপক্ষকে হারানোর অস্ত্র হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ।

আগামী ১ এপ্রিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে মহারণ আছে লিভারপুলের। অল রেড সমর্থকরা খুব করেই চাইছেন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এসে কিম যেন সিটিকে সমর্থন দেন। কারণ কিমের সমর্থন কাজে আসে না। তা ছাড়া তিনি যাদের সমর্থন দেন সেই দলটাই হেরে বসে! প্রশ্ন হচ্ছে, লিভারপুল সমর্থকদের ডাকে সাড়া দিয়ে গ্যালারিতে থেকে কিম সিটির জন্য গলা ফাটাবেন তো? উত্তরটা তোলা থাকল ভবিষ্যতের হাতে।