রাশিয়া-চীন সম্পর্ককে ‘স্বার্থের আঁতাত’ ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়া ও চীনের মধ্যে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠতাকে ‘স্বার্থের আঁতাত’ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনকে যুক্তরাষ্ট্র নিজের পরিপন্থী হিসেবে দেখছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন এ কথা বলেছেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন

মার্কিন সিনেটে এক শুনানিতে ব্লিংকেন বলেছেন, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক নিবিড় সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে দেখছে। এটা একইসঙ্গে কৌশলগত জোট ও স্বার্থের আঁতাত। নিজেদের সুবিধার্থে পরস্পরের কাছে এসেছে দুই দেশ, যাকে ম্যারেজ অব কনভিনিয়েন্স বলা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার সকালে (বাংলাদেশে সন্ধ্যা) সিনেটের বরাদ্দ বিষয়ক কমিটির শুনানিতে ব্লিংকেনের কাছে রাশিয়া-চীন মৈত্রী সম্পর্কে জানতে চান আইন প্রণেতারা।

কমিটির প্রভাবশালী রিপাবলিকান সদস্য, সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, রাশিয়া ও চীনের এই দহরম-মহরমকে আপনি কৌশলগত জোট মনে করছেন, নাকি এটা স্রেফ স্বার্থের আঁতাত?

জবাবে ব্লিংকেন বলেন, আমি মনে করছি দুটোই। এটা রাশিয়া-চীনের কৌশলগত জোট, আবার একইসঙ্গে স্বার্থের আঁতাত। আমরা মনে করি, রাশিয়ার প্রতি চীনের কূটনৈতিক-রাজনৈতিক সমর্থন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বস্তুগত সমর্থন ওয়াশিংটনের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। তবে এখনও পর্যন্ত বেইজিং থেকে মস্কোকে সামরিক সহায়তা জোগানোর কোনো লক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের চোখে পড়েনি।

এদিকে রাশিয়া ও চীনের ঘনিষ্ঠতাকে ‘অনিরাপদ’ বলে মন্তব্য করেছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউজ মোরাওয়েস্কি। বুধবার দুপুরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিবেশী ও ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সরকারপ্রধান মোরাওয়েস্কি বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফর আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে। চীন-রাশিয়া অক্ষ একটি অনিরাপদ বিষয়। আমরা চীনকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যাতে তারা রাশিয়াকে সমর্থন না করে।