সালাউদ্দিনের খোঁচা, কী বলবেন পাপন?

অর্থাভাবে প্যারিস অলিম্পিক গেমসের বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে মিয়ানমারে যেতে পারছে না সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ফুটবল অঙ্গন। খবরটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলেও এখন আর মিয়ানমারে দল পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ বড্ড দেরি হয়ে গেছে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন

আগামী ৫-১১ এপ্রিল প্রতিবেশী দেশটিতে হবে এশিয়ান অঞ্চলের বাছাই পর্ব। সেখানে দল পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে ফোন দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ কর্তা।

মিয়ানমারে সাবিনারা যেতে না পারায় কিছুটা হলেও হতাশ দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু সংকটের কথা আগে জানলে শেখ হাসিনা নিজেই ব্যবস্থা নিতে পারতেন। অন্তত সালাউদ্দিনের কথাতে তা পরিষ্কার, ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল। (মিয়ানমারে) দল পাঠাতে (আর্থিক) সহায়তার কথাও জানানো হয়। সমস্যার কথা আগে কেন প্রধানমন্ত্রীকে জানাইনি আমাকে এ কথাও বলা হয়েছে।’

কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি? যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিয়মিত শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই দূরত্বের কারণ কী? এমন প্রশ্নে বিসিবি প্রধানকে খোঁচা মেরে বসলেন বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন।

সোমবার গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব একরকম নয়। আমি লোক দেখিয়ে বলব না যে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়েছেন। আমি ওরকম না। ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আমি এসেছি। আমি ওই নাটক করতে পারব না। প্রধানমন্ত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি লোক দেখাতে পারব না।’

সালাউদ্দিনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিসিবি সভাপতি পাপন কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান সেটিই কার্যত দেখার অপেক্ষা।