আপনি পড়ছেন

শ্রীলঙ্কার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন লঙ্ঘনের ঘটনায় আইএমএফের কাছে নালিশ করবে। আইএমএফ কর্মকর্তারা শ্রীলঙ্কা সফরকালে বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবে। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ লক্ষ্মণ কিরিয়েলা এ কথা বলেছেন। খবর দ্য আইল্যান্ড।

sri lanka kiriellaশ্রীলঙ্কার বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, সাবেক মন্ত্রী লক্ষ্মণ কিরিয়েলা

পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে লক্ষ্মণ কিরিয়েলা বলেন, আইএমএফ কিছু সুনির্দিষ্ট শর্তের ভিত্তিতে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করেছে। এসব শর্তের মধ্যে প্রথমেই আইনের শাসন সুরক্ষা করার কথা রয়েছে। বিগত দুই-তিন মাসে সরকার অন্তত ছয়টি ঘটনায় আইনের শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনের তহবিল ছাড় করেনি। নির্বাচন কমিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের অমর্যাদা করেছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের যে বিচারপতিগণ আদেশ দিয়েছিলেন, তাদেরকে পার্লামেন্টারি কমিটির শুনানিতে ডাকা হয়েছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে সরকার গণমাধ্যমকে হয়রানি করছে। একইভাবে, সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সদস্যদের তলব করা হয়েছে। বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে পুলিশের আক্রমণে দুইজনের প্রাণহানি হয়েছে। এই ছয়টি ঘটনাই আইএমএফের ঋণের শর্তের পরিপন্থী।

সাবেক মন্ত্রী ও ক্যান্ডি জেলা থেকে নির্বাচিত এমপি কিরিয়েলা বলেন, সরকার এখন আমাদেরকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথ বাতলাতে বলছে। যে সরকার দেশকে দেউলিয়া করেছে, তাদেরকে আগে বিদায় নিতে হবে। যারা সংকটের মূল কারণ, তারা কখনো সমাধানের উৎস হতে পারে না। আমরা ৭ বিলিয়ন (৭০০ কোটি) ডলার রিজার্ভ রেখে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি, আপনারা সেটাকে ২০ মিলিয়নে (২ কোটি) নামিয়ে এনেছেন।

তিনি বলেন, আগামী মাসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল শ্রীলঙ্কা আসছে। আমরা তাদের কাছে নির্বাচন স্থগিতকরণ, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমকে হয়রানি, নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগসহ সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের বিবরণী উপস্থাপনের পরিকল্পনা করছি।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ সরকারকে বলেছে সিভিল সোসাইটিকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে। এদিকে সরকার এমন আইন প্রণয়ন করছে যাতে তারা সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করতে পারে। সবাই নির্বাচন চাইছে। অথচ সরকার তহবিল সংকটের খোঁড়া অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হয় তখন ব্রিটেন ছিল ধ্বংসস্তুপ। জার্মান বাহিনীর আক্রমণে ব্রিটেনের ২ লাখ ৪৫ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ শেষের তিন মাসের মধ্যে ব্রিটেন নির্বাচন করেছিল। এভাবেই গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হয়।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.