অ্যানফিল্ডে কীসের এত ভয় আর্সেনালের?

ম্যাচটা গতমাসে হলেও মানা যেত। যখন অ্যানফিল্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ডেকে এনে সাত গোলের লজ্জায় ডুবিয়েছিল লিভারপুল। সেই ম্যাচ তো গত হয়ে গেছে। এরপর ইয়ুর্গেন ক্লপের দল খেলেছে আরও চার ম্যাচ। যেখানে জয় নেই একটিতেও। তো এমন একটা দলকে ভয় পাওয়ার কী আছে। আবার ভয় পাওয়া দলটি যদি হয় আর্সেনাল তাহলে তো অবিশ্বাস্যই ঠেকছে।

লিভারপুল, আর্সেনাল

প্রিমিয়ার লিগে সেরা ছয়ে থাকতে লড়ছে লিভারপুল। অন্যদিকে লিগ শিরোপায় নজর আর্সেনালের। দুই দলের মধ্যে ২৮ পয়েন্টের ব্যবধান। চলতি মৌসুমে এমন অবস্থায় আগামীকাল রোববার মুখোমুখি হচ্ছে লিভারপুল-আর্সেনাল। অসম পার্থক্য সত্ত্বেও লিভারপুলকে মোকাবেলার আগে সত্যি ভয়ে আছে দলটির কোচ মিকেল আর্তেতা।

আর্সেনালের আসল ভয়ের কারণ মূলত অতীত ইতিহাস। গানারদের জন্য বিশাল এক আতঙ্ক হয়ে আছে অ্যানফিল্ড। প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের মাঠে খেলতে গিয়ে প্রায় প্রতিবারই বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছে আর্সেনাল। সবশেষ ছয় ম্যাচে রীতিমত লিভারপুলের বিপক্ষে উড়ে গেছে গানাররা। এই ৬ ম্যাচে মিকেল আর্তেতার দল গোল হজম করেছে ২২টি। সংখ্যাটা চোখ কপালে তোলার মতোই। বিপরীতে গোল দিতে পেরেছে মোটে ৪টি। দুই দলের এমন পরিসংখ্যানই বলে দেয় গানারদের পেলে অল রেডরা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

এক যুগের বেশি সময় ধরে অ্যানফিল্ডে গানারদের জিততে দেয়নি লিভারপুর। অলরেডদের দুর্গে আর্সেনালের সবশেষ জয়টা ২০১২ সালে। তবে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের দাপুটে জয়ের শুরু ২০১৭ সাল থেকে। সেবার লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হারে আর্সেনাল। ওই বছরই অ্যানফিল্ডে গিয়ে আরেক দেখায় গানারদের হার ৪-০ গোলে। এরপরের ম্যাচে তো আরও বাজে পারফরম্যান্স করে আর্সেনাল। এবার পরাজয়ের স্কোরলাইনটা ৫-১ গোলের।

এরপর লিভারপুলের বিপক্ষে ২০১৯ সালে ৩-১ এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর ৪-০ গোলের পরাজয় আছে আর্সেনালের। বারবার অ্যানফিল্ডে গিয়ে এম হতচ্ছাড়া পারফরম্যান্সই ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে আর্তেতাকে।

এই ম্যাচের আগে তাই সতর্ক আর্সেনাল কোচ। এমনকি রোববারের ম্যাচকে জঙ্গলের ম্যাচ বলে উল্লেখ করেছেন এই কোচ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আপনি চিরিয়াখানায় প্রস্তুতি নিয়ে জঙ্গলে ম্যাচ খেলতে যেতে পারেন না। এটা অসম্ভব। এখানে আপনাকে মেলে ধরতে হবে। ছেলেদের বোঝাতে হবে, কী অপেক্ষা করছে তাদের জন্য, এটা চিহ্নিত করতে হবে।’

আমরা জানি আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে অ্যানফিল্ডে। পাশাপাশি সুযোগও আছে এবার কিছু করার, যেটা আমরা অনেক বছর ধরে করতে পারিনি সেখানে।