বন্ধুত্ব ছাপিয়ে আজ মহারণে মুখোমুখি টুখেল-গার্দিওলা

মুখোমুখি লড়াইয়ে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। আবার দুই দলই আছে নিজেদের লিগ শিরোপার লড়াইয়ে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটি ধাওয়া করছে শীর্ষে থাকা আর্সেনালকে। অন্যদিকে বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পেছনে ছুটছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লিগের অন্যতম দুই সেরার মহারণ আজ দেখবে বিশ্ব। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে রাত ১টায় মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখ।

টুখেল-গার্দিওলার বন্ধুত্ব ছাপিয়ে মহারণে ম্যানচেস্টার সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখ

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কাউকে এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। হয়ত ঘরের মাঠে খেলা বলে অনেকেই এগিয়ে রাখবেন সিটিকে। তবে জার্মান জায়ান্টদের নিয়ে আগ বাড়িয়ে বলা যায় না কিছু। কারণ জার্মান লিগের ক্লাবগুলো এমনই। তারা যে কোনো জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে খুব দ্রুতই।
ইতিহাস-পরিসংখ্যান অবশ্য পক্ষে পাবে ম্যানচেস্টার সিটির। সবশেষ দেখায় বায়ার্নকে পেপ গার্দিওলার দল হারিয়েছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। গত বছরের জুলাইয়ে দেখা হওয়া সে ম্যাচটি ছিল ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। এর আগে ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়নস কাপেও ৩-২ গোলে বায়ার্নকে হারায় ম্যানসিটি।

সর্বসাকুল্যে ১০ বারের দেখায় দুই দলের জয় পরাজয় সমান পাঁচটি করে। সবশেষ ২০১৪ সালে চ্যাম্পয়নস লিগে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেবার একই গ্রুপে পড়েছিল জার্মান জায়ান্ট এবং ইংলিশ জায়ান্টরা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে বায়ার্ন জেতে ১-০ গোলে, পরের দেখায় ইতিহাদে ৩-২ গোল ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি।

২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পেপ গার্দিওলা। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে ডাগ আউটে আজ মাঠে দাঁড়াবেন স্প্যানিশ কোচ। ক্লাবটির সঙ্গে মিশ্র অভিজ্ঞতা জড়িয়ে আছে গার্দিওলার। যখন বার্সেলোনার কোচ ছিলেন তখন বোধহয় এই একটা ক্লাবই তাকে খুব বেশি পরীক্ষায় ফেলেছে। এরপর সেই দলের কোচ হয়ে সুখস্মৃতিও আছে।

সম্প্রতি বায়ার্ন মিউনিখ নাগেলসম্যানকে ছাঁটাই করে কোচ হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত করে টমাস টুখেলকে। যাত্রার শুরুতেই গার্দিওলার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। মখোমুখি হলেও দুজনের মধ্যকার সম্পর্কটা অনেকটা বন্ধুত্বের, সম্মানের। গার্দিওলা এবং টুখেল এক দশক ধরে দুজনেকে কাছ থেকে চেনেন এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিক্ততার নয়, বরং শ্রদ্ধা এবং প্রশংসার।

গত বছর একবার সাংবাদিকদের গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘আমি যে কয়জনের থেকে শিখি টুখেল তাদের মধ্যে একজন। একজন ভালো ব্যবস্থাপক হিসেবে তার তুলনা হয় না। তিনি সব বিভাগেই দুর্দান্ত। যখন মেইঞ্জে ছিলেন আমি তার পদ্ধতি উপভোগ করতাম, তার খেলার ধরন ফুটবলকে আরও সুন্দর করে তোলে।’

আজ মহারণের পর গার্দিওলার সুর এমনই থাকবে তো?