এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই সিনান ওগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ মে। এই নির্বাচন ঘিরে অনেকটাই চাঙ্গা নতুন বিরোধী জোট এটিএ। এই জোট থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন একজন তুর্কি জাতীয়তাবাদী নেতা। তার নাম সিনান ওগান। তিনি ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির (এমএইচপি) সাবেক সদস্য। যদিও এমএইচপি পার্টি এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন একে পার্টির মিত্র। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সিনান ওগান

সিনান ওগান একজন শিক্ষাবিদ। আজারবাইজানীয় তুর্কিদের মধ্য থেকে তার উত্থান। আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জন্য তিনি এক লাখের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি এটিএ জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ওগানের এটিএ জোটের দলগুলো হলো- জাফের পার্টি, মেমলেকেট পার্টি এবং তুর্কি অ্যালায়েন্স পার্টি। জোটটি জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত। তবে জোটটি প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা কামাল কিলিকদারোগলুর নেশন অ্যালায়েন্সের তুলনায় কম শক্তিশালী। আর একে পার্টির নেতা এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন রয়েছে পিপল অ্যালায়েন্স।

৫৬ বছর বয়সী ওগানের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টিতে (এমএইচপি)। ২০১১ সালে তিনি নিজ শহর ইগদির থেকে ডেপুটি নির্বাচিত হন। ইগদির হলো আগের আনাতোলিয়ান প্রদেশের আজারবাইজানীয় জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকা।

প্রথম দিকে এমএইচপি নেতা ডেভলেট বাহসেলির সঙ্গে ওগানের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বাহচেলি ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের পর এরদোয়ানের নীতিকে সমর্থন করলে ওগান তার বিরোধিতা করেন এবং অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলো নিয়ে জোট করেন।

খবরে বলা হচ্ছে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তুর্কি জাতীয়তাবাদের কেন্দ্রে থাকা বাহচেলির এমএইচপি এবং প্রভাবশালী এরদোয়ানের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান শক্ত জোট গড়ে ওঠে। তবে কিছু জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ- সিনান ওগান, মেরাল আকসেনার, উমিত ওজদাগ এবং কোরে আইদিন এরদোয়ান-বাহচেলির মিলন মেনে নিতে পারেননি।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ের সাংবাদিকরা ওগানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। এর কৌশলী জবাব দেন ওগান। তিনি বলেন, আমরা স্বর্গের প্রতিশ্রুতি দিতে সক্ষম না, তবে নরকের দরজা বন্ধ করার সময় এসেছে।