মূল একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবিদার আলভারেজ!

আর্লিং হাল্যান্ড বাদে ম্যানচেস্টার সিটির স্কোয়াডে জুলিয়ান আলভারেজের চেয়ে কম সময়ে বেশি গোল করার রেকর্ড নেই আর কারও। প্রকৃতপক্ষে হাল্যান্ডই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি লীগে ১০ টিরও বেশি ম্যাচে দলের পক্ষে গোলের সূচনা করেছেন। এখানেও আলভারেজের চেয়ে এগিয়ে শুধু নরেওয়ে স্ট্রাইকার।

গত রোববার ফুলহামের বিপক্ষে গোলের পর জুলিয়ান আলভারেজের উদযাপন

ম্যানসিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘দক্ষ গোলদাতা’ আলভারেজ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সিটির স্কোয়াডের মধ্যে বেশি সময় খেলার তালিকায় ১৬তম স্থানে রয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ৩২ ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন। অথচ জোয়াও ক্যানসেলোর চেয়ে তিনি লিগে কম সময় খেলেছেন। ক্যানসেলো বায়ার্ন মিউনিখে লোনে যাওয়ার পরে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সিটির হয়ে আর খেলেননি।

এদিকে সবশেষ ম্যাচে ফুলহামের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেন আলভারেজ। ওই ম্যাচে ম্যানসিটির জয়ের নায়কও তিনি। প্রথমে তিন মিনিটে এগিয়ে থাকার পর ১৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে ফুলহাম। এরপর ৩৬ মিনিটের মাথায় আলভারেজের অসাধারণ এক গোলে জয় পায় পেপ গার্দিওলার দল। গোলের বিবেচনা বাদ দিলেও এই ম্যাচের সেরা পারফর্মারও ছিলেন ম্যানসিটির নম্বর নাইন।

আর্লিং হাল্যান্ডের সঙ্গে জুলিয়ান আলভারেজ

গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচে জয়ের পর শুরুর একাদশে আলভারেজকে নিয়মিত দেখতে চাইছেন সমর্থকেরা। নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েই অমন প্রত্যশা জাগিয়ে তুলেছেন সিটি স্ট্রাইকার। আলভারেজ চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত আট গোল করেছেন। যেটা ম্যানসিটির তৃতীয় সর্বোচ্চ।

দ্বিতীয়তে থাকা ফিল ফোডেন ৯ গোল করেছেন। তবে তিনি আলভারেজের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন। তার থেকেও বড় হচ্ছে আলভারেজ খেলেছেন ২৫ ম্যাচ। যার মধ্যে কেবল আটটিতে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন। বাকি ম্যাচগুলোতে বদলি হিসেবে নেমেছেন কখনও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, কখনও বা ৬০-৭০ মিনিটের মধ্যে। অন্যদিকে ২৬ ম্যাচ খেলা ফোডেন বেশিরভাগ ম্যাচেই ছিলেন গার্দিওলার শুরুর একাদশে।

এদিকে হাল্যান্ড ও আলভারেজের একসঙ্গে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া ম্যাচগুলোতে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ৯টি ম্যাচে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে একসঙ্গে শুরু করেছেন দুজনে। যার মধ্যে সাতটিতে জিতেছে লেস ব্লুজরা। ড্র করেছে একটিতে (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ০-০) এবং একটি ম্যাচে টটেনহামের বিপক্ষে হেরেছে ১-০ গোল ব্যবধানে। হ্যাল্যান্ড সেই ৯টি ম্যাচে ম্যাচে ১১ গোল করেছেন এবং আলভারেজ করেছেন আটটি। ওই ১১ ম্যাচে ম্যানসিটি মোট ৩০ গোল করেছে।

ইউরোপে নিজের অভিষেক মৌসুমে আর্জেন্টিনা স্ট্রাইকার একজন কার্যকরী স্ট্রাইকার এবং গার্দিওলার সিস্টেমের আদর্শ নম্বর নাইন উভয় ক্ষেত্রে প্রমাণ করেছেন। অসাধারণ পারফর্ম্যান্স সত্ত্বেও বেশিরভাগ ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকতে হচ্ছে আলভারেজকে। সিটির শুরুর একাদশে এবার কী নিয়মিত দেখা যাবে ২৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকাকে?