করোনার বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার ইতি ঘোষণা

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে জারি করা জরুরি অবস্থার প্রত্যাহার ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আদহানম গেব্রেয়াসুস আজ শুক্রবার (৫ মে) এ ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ তাণ্ডব চালানোর তিন বছরের মাথায় এসে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলো। খবর বিবিসি।

মহামারি করোনার জরুরি অবস্থার প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রেয়াসুস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, আমি আশাবাদের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা হিসেবে কোভিড–১৯ এর ইতি ঘটেছে।

গেব্রেয়াসুস জানান, ডব্লিউএইচওর ইমারজেন্সি কমিটি ১৫তম বৈঠক হয়েছে বৃহস্পতিবার। ওই বৈঠক থেকে জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতি পরিসমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার পরামর্শ আসে। তাদের ওই পরামর্শ মেনে নিয়েছেন তিনি।

করোনার বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা সমাপ্তির বিবৃতিটি মহামারিটির অবসানের দিকে একটি বড় মাইলফলক। মহামারি ভাইরাসটির বিস্তার রোধে প্রথম সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করার তিন বছর পর এই বিবৃতি এলো।

চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দিনে দিনে পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে ঘাতক ভাইরাসটি। এরপর ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ভাইরাসটিকে মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। জারি করা হয় বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা।

বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণের পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত ৬৮ কোটি ৭৬ লাখের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮৩৯ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, সারা বিশ্বে এই মহামারিতে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের এই হিসাব সত্ত্বেও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাটা দুই কোটির মতো বলেই মনে করি আমি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনায় মৃত্যু সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠে। বিশ্বে ওই সময় সপ্তাহে গড়ে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। তবে সেখান থেকে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে মৃত্যু নেমে আসে সাড়ে ৩ হাজার জনে।

গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, করোনাভাইরাস এখনো উল্লেখযোগ্য একটি ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে। সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা অবসানের সিদ্ধান্তের অর্থ এই নয় যে, বিপদ একেবারে শেষ হয়ে গেছে।