ইতালিতে বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু, গৃহহীন ১৩ হাজার

ইতালিতে দেড় দিনের তুমুল বৃষ্টিতে নদী উপচে বন্যায় ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে বুধবার দিনভর বৃষ্টিপাতের পর রাতে বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার তোড়ে ও ভূমিধসে ঘরবাড়ি ভেঙে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৩ হাজার বাসিন্দা। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান।

ইতালির উত্তরাঞ্চলে বন্যায় একদিনেই ডুবেছে ৩৭টি শহর

ইতালির সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি বলেছেন, ছয় মাসের বৃষ্টিপাত দেড় দিনে হয়েছে। এতে দেশের উত্তরের এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলের ২০টির বেশি নদ-নদীর পানি উপচে গেছে। নদী তীরবর্তী শহরগুলোতে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।

তিনি জানান, রিমিনির উত্তর-পূর্ব উপকূল ও বোলোগনা শহরের মধ্যে প্রবাহিত সব নদীই প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ছোটবড় ভূমিধস ঘটেছে অন্তত ২৮০টি জায়গায়।

মন্ত্রী জানান, দুর্যোগকবলিত এলাকায় রাতারাতি বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফায়ার ফাইটাররা রাতের বেলাতেই আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

বোলোগনা শহরের বাসিন্দা রবার্টা লাজারিনি বলেন, প্রায় ৪৮টি ঘণ্টা খুব খারাপ সময় গেছে। পানি-কাদা পুরো একটি এলাকাকে গ্রাস করেছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও বাগান সব পানির নিচে চলে গেছে।

রবার্টা বলেন, আমরা আতংকের মধ্যে রাত কাটিয়েছি। আগে কখনো এমন পরিস্থিতির শিকার হইনি। আমরা আটকে পড়েছিলাম। কী করতে হবে বুঝতে পারছিলাম না।

ভূমিধসে ঘরবাড়ি হারিয়ে কোনোরকম প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বোলোগনার বাসিন্দা আইনজীবী আন্তোনিও ফ্রান্সেস্কো রিজুটো। তিনি পরিবার নিয়ে নিকটবর্তী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

রিজুটো বলেন, আমরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে, মিনিটের মধ্যে পানির স্তর বেড়ে যাচ্ছিল। আমরা আমাদের সমস্ত জিনিস হারিয়েছি।