২০২৬ বিশ্বকাপ লোগো নিয়ে বিতর্ক, কী করবে ফিফা?

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর যৌথভাবে আয়োজন করতে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের তিনটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকোর সঙ্গে স্বাগতিক স্বত্ব পেয়েছে কানাডা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগের উন্মোচন করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।

২০২৬ বিশ্বকাপ লোগো উন্মোচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

কিন্তু লোগোটা আট-দশটা বিশ্বকাপের মতো হয়নি। গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে সাদামাটা একটা লোগো চূড়ান্ত করেছে ফিফা। যেটি এখন বিতর্কের কেন্দ্র। লোগোতে সাদা রঙের ইংরেজি হরফে ২৬ লেখা হয়েছে। যার মধ্যভাগটা বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি সম্বলিত। ট্রফির নিচে ইংরেজি হরফে লেখা আছে ফিফা।

লোগো উন্মোচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এ সময় তার পাশে ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের কিংবদন্তি সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদো দ্য লিমা। লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক রথী-মহারথী। আয়োজন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তিন্তু কেন বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক আয়োজনের লোগোটা এমন সাদামাটা হলো?

এ নিয়ে দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের ঝড় বইছে। ফিফা ও স্বাগতিকদের ধুয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। টুইটারে একজন লিখেছেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপের লোগের গল্পটা দ্রুতই চূড়ান্ত করা হয়ে গেল? এটা কোনো লোগো হলো? খুব সাদামাটা হয়ে গেল।’ আরেকজন বলেছেন, ‘ব্যস, এইটুকুই? ২৬ লেখার ওপর পিএনজি ছবির একটা বিশ্বকাপ ট্রফি!’

আরেক ফুটবলপ্রেমী ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘খুব সস্তা হয়ে গেল ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগোটা। লোগোটা আরেকটু সময় নিয়ে নির্ধারণ করা যেতে পারতো।’ অন্য আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘কীভাবে এটির নকশা পর্যবেক্ষণ করা হলো? আমার মনে হয় ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো চূড়ান্ত করতে ৬০ সেকেন্ডও সময় নেওয়া হয়নি।’

লোগোটা যে সাদামাটা হয়েছে সেটি মানছেন ফিফার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা রোমে গাই। তিনি বলেছেন, ‘সমর্থকদের আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি পরবর্তী টুর্নামেন্টের নতুন প্রতীকের সঙ্গে। লোগোটির আলাদা স্বতন্ত্র রয়েছে। এই লোগো মানুষ, সম্প্রদায় ও স্থানের বৈচিত্র্যময় দিকগুলো ফুটিয়ে তুলবে। আমরা এটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’

অনুষ্ঠানে লোগো নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলেও ভক্তদের ক্ষোভের মুখে চিন্তায় পড়ে গেছে ফিফা। তবে আপাতত লোগো পাল্টানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।