ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধান চায় তালেবান

আফগান-ইরান সীমান্তে সংঘর্ষের পর তালেবান সরকার ইরানকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। ২৯ মে, সোমবার এক আফগান কর্মকর্তা আরব নিউজকে এই কথা বলেছেন। খবর আরব নিউজ।

সীমান্তে সংঘর্ষের পর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান আফগানিস্তানের

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র হাফিজ জিয়া আহমাদ আরব নিউজকে বলেছেন, 'আমরা চাই না আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হোক। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ইরানসহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে আমরা অনুরোধ করছি।'

তিনি আরও বলেছেন, ‘বর্তমানে সীমান্ত অঞ্চলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত কখনই উত্তেজনার পক্ষে নয়।' তবে কী কারণে সীমান্তে এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কোনো পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

শনিবার আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে একটি সীমান্ত চৌকির কাছে গুলি চালানোর পর অন্তত একজন তালেবান কর্মকর্তা এবং দুই ইরানি সীমান্তরক্ষী নিহত হন। দুই দেশের কর্মকর্তারা একে অপরকে প্রথমে গুলি চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

আফগানিস্তান থেকে ইরানের শুষ্ক পূর্বাঞ্চলে প্রবাহিত হেলমান্দ নদীর পানির অধিকার নিয়ে বিরোধের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবেশি দুই দেশ ক্রমবর্ধমান খরার মুখোমুখি হচ্ছে।

এদিকে চলতি মাসের শুরুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তালেবানদের হেলমান্দ নদীর উপর ইরানের পানির অধিকার লঙ্ঘন না করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। হেলমান্দ নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য ১৯৭৩ সালে ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল।

২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে পানির অধিকার, সীমান্ত সংঘর্ষ, ইরানে অবস্থানরত আফগান শরণার্থীদের প্রতি দুর্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা যায়।