ছোটদের বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের ‘বড়’ ব্যর্থতা

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পরাজয়টা সেদিন মেনে নিতে পারেনি ব্রাজিল সমর্থকেরা। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে হয়ত পারত না অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল। তবে ছোটদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলে অন্তত কষ্ট থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারত ব্রাজিল। সেটাও হয়নি সেমিফাইনালে ইসরায়েলের কাছে হেরে রোববার বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছে জুনিয়র সেলেকাওরা।

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইসরায়েলের কাছে হেরে রোববার বিদায় নিয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ ব্রাজিল ফুটবল দল

অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হুয়ানে গতরাতে ইসরায়েলের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দল। বয়সভিত্তিক ফুটবলে শক্তিমত্তা যাচাই করার সুযোগ হয়ত সেভাবে নেই। তবে ব্রাজিলের যে কোনো বয়সভিত্তিক দলকে তো আর বিবেচনা করতে খুব বেশি কষ্ট হওয়ার নয়। আর সেটা যদি হয় ফুটবল তবে তো কথাই নেই। সেখানে ইসরায়েল বাধা হতে পারবে বলে অনেকেই মনে করেনি। কিন্তু ব্রাজিলকে হতাশায় ডুবিয়ে ৩-২ গোল ব্যবধানে জিতে এখন ফাইনালে ইসরায়েল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল।

অথচ এই ম্যাচে জয়ের পাল্লা দুইবারই ভারী করেছিল ব্রাজিল। মানে দুইবার গোল ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ৫৬ মিনিটের মাথায় দলকে প্রথমবার এগিয়ে দেন মার্কোস লিওনার্দো। সমতায় ফিরতে ৪ মিনিট সময় নেয় ইসরায়েল, ৬০ মিনিটের মাথায় গোলটি করেন ইনান খলিলি।

১-১ গোলে সমতায় থেকে ম্যাচ এগিয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে ৯১ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ম্যাথিউস নাসিমেন্ত। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষা তখন বাজিল শিবিরে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দুই মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করে দেয় ইসরায়েল। ২-২ গোলে সমতায় থেকে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ১০৫ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের জ্বালে বল পাঠিয়ে দেন ডেভিড তুর্গমেন। এরপর ব্যবধানটা আরও বাড়াতে পারত ইসরায়েল যদি দুইবার ১১২ মিনিট ও ১১৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি মিস না করত। শেষ পর্যন্ত বড়দের মতো ব্যর্থতা কাঁধে নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।