ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ

ইতালির অভিবাসনবিরোধী, উগ্র ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির তিউনিসিয়া সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন তিউনিসিয়ানরা। ৬ জুন, মঙ্গলবার উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে রাষ্ট্রীয় সফরে যান ইতালির প্রধানমন্ত্রী। খবর দ্য নিউ আরব।

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ

তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে অ্যাক্টিভিস্ট এবং ইতালি প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ করেন। তারা জর্জিয়া মেলোনি সরকারের নৃশংস অভিবাসন বিরোধী নীতির সমালোচনা করেন। তাদের যুক্তি, এর ফলে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের আরও বেশি প্রাণহানি ঘটবে। এছাড়া তার সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে অবস্থান করা অভিবাসীদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হচ্ছে।

তিউনিসিয়ান ফোরাম ফর ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল রাইটস এর মুখপাত্র রমজান বেন ওমর বলেন, ‘মেলোনিকে স্বাগত জানানো হয়নি। তিনি ইতালিতে অভিবাসীবিরোধী নীতির নেতৃত্ব দেন। ভূমধ্যসাগরে মানবিক সংস্থার কাজকে সীমিত করেন। অভিবাসীদের জোরপূর্বক দেশটি থেকে বের করে দেন। তিনি সমস্ত অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন করছেন।’

জর্জিয়া মেলোনি একজন কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ। তিনি বিরোধী দলে যখন ছিলেন, তখন থেকেই অভিবাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে তার রাজনৈতিক এজেন্ডার মূলে পরিণত করেছেন।

তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। অভিবাসন বিষয়ে নতুন সরকারের নীতি প্রবর্তন করতে সামান্য সময়টুকুও নষ্ট করেননি তিনি। ৪ নভেম্বর, ভূমধ্যসাগর দিয়ে আসা অভিবাসীদের উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর জন্য ইতালির বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয় তার সরকার। এর ফলে এক হাজারেরও বেশি অভিবাসী অবরুদ্ধ অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

এদিকে প্রতিবেশী লিবিয়া সফরের পর মেলোনি মঙ্গলবার তিউনিসিয়ায় এসেছিলেন। অভিবাসন নীতি এবং তিউনিসিয়ার আইএমএফ ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করার লক্ষ্যে তিনি এই সফর করেন।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর এ পর্যন্ত তিউনিসিয়া থেকে ১২ হাজার অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছে। অথচ ২০২২ সালে এই সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৩০০ ছিল। বছরের শুরু থেকে ধারাবাহিক জাহাজডুবির ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ ডুবে গেছেন। চলতি বছর একাধিক নৌকাডুবির ঘটনায় তিউনিসিয়ার উপকূলে আরো ডজন খানেক নিখোঁজ রয়েছে।