উত্তর সাইপ্রাস রক্ষায় অঙ্গীকার এরদোয়ানের

তুর্কি রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাসের (টিআরএনসি) অধিকার রক্ষা করা হবে উল্লেখ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুর্কি সাইপ্রিয়টরা কখনই সংখ্যালঘু ছিলো না এবং তারা সংখ্যালঘু হবেও না। তবে প্রতিপক্ষ সত্যগুলো উপেক্ষা করে দ্বীপের একমাত্র শাসক হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও টিআরএনসির প্রেসিডেন্ট এরসিন তাতার

টিআরএনসির প্রেসিডেন্ট এরসিন তাতারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৮ মে এরদোয়ান নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গতকাল সোমবার টিআরএনসিতে প্রথম সফরে গেছেন। তার এই সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন তাতার। তিনি এর আগে এরদোয়ানের নির্বাচনী বিজয়েও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, টিআরএনসির বিরোধিতাকারীদের বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া উচিত। টিআরএনসিকে স্বীকৃতি দিয়েই তাদের আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। এ সময় তিনি উত্তর সাইপ্রাসের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের রোডম্যাপ পরিষ্কার। আঙ্কারা চায় এজিয়ান সাগর একটি ‘শান্তি সাগর‘ হোক। খবরে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাইপ্রাসে দুইপক্ষ (গ্রিক সাইপ্রিয়ট এবং তুর্কি সাইপ্রিয়ট) কয়েক দশক ধরে বিবাদে জর্জরিত। ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া জাতিগত আক্রমণ তুর্কি সাইপ্রিয়টদের নিরাপত্তার জন্য ছিটমহল থেকে সরে যেতে বাধ্য করে।

১৯৭৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গ্রিস দ্বীপটি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করে। এ লক্ষ্যে তারা তুর্কি সাইপ্রিয়টদের ওপর নিপীড়ন এবং সহিংসতা শুরু করে। গ্রিসের নিপীড়ন থেকে উত্তর সাইপ্রাসকে রক্ষা করার জন্য তুরস্ক সামরিক হস্তক্ষেপ করে। এর ফলে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল টিআরএনসি।