লেবাননের সঙ্গে পারল না বাংলাদেশ

ফেরানো গেল না এক যুগ আগের স্মৃতি। লেবাননকে ২০১১ সালে ২-০ গোলে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।

লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ

ঘুরে ফিরে সেই একই গল্প। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র ছিল ম্যাচটি। কাগজে-কলমে, শক্তিমত্তায় অনেকটাই এগিয়ে ‍থাকা লেবাননের বিপক্ষে ড্র করাটাকে প্রাপ্তি হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ১৬ (যোগ করা সময় ধরে) মিনিটে স্নায়ু কিংবা ধৈর্য কোনটাই ধরে রাখতে পারেননি সোহেল রানা, ফয়সাল আহমেদ, আনিসুর রহমান জিকোরা।

সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে রাকিব হাসানের শেষ মুহূর্তের ভুলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। বলা ভালো সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের অন্যতম পারফর্মারও ছিলেন রাকিব। আজ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন সোহেল রানা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একই দুর্ভাগ্য যেন ফিরে আসে বারবার। আবাহনী মিডফিল্ডারে সোহেলের ভুল পাস থেকে প্রথমবার গোলের ‍সুযোগ পেয়ে যায় লেবানন।

৮০ মিনিটের সময় মাঝ মাঠে বল ছিল সোহেলের পায়ে। অসতর্ক অবস্থায় ব্যাক পাস দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ দলের ছিল না কেউ। একটু দূরে থাকা তারিক কাজী এসেও বলটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেন না। বল পেয়ে যান লেবাননের হাসান মাতুক। যিনি গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের একদম কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছে কাবরেরা শিষ্যরা। ফিরতি কাউন্টার অ্যাটাকে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লেবাননের ফুটবলার বদর খলিল। এর আগে ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় লেবাননের গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল পাঠাতে পারেননি ফয়সাল আহমেদ।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠেও ঝড়ল গোল মিসের হতাশা, ‘ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের জন্য ম্যাচটা দারুণ ছিল। বেশকিছু সুযোগ পেয়েও সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে এটা ফুটবল খেলারই অংশ। আমরা পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াব।'