শেষের গোলে বাংলাদেশের সর্বনাশ

ম্যাচজুড়ে শক্তিশালী কুয়েতের সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। কয়েকবার গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে কাজের কাজটাই করতে পারেনি তারা। বরং অতিরিক্ত সময়ের খেলায় গোল হজম করে স্বপ্নের জলাঞ্জলি দিতে হলো বাংলাদেশকে।

দুর্দান্ত খেলেও বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ

আজ বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে গেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। এই হারে দেড় যুগ পর টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। হতাশার হার নিয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে ফিরতে হচ্ছে তাদের। আফসোস বলতে, দুর্দান্ত খেলেও বিদায় নিতে হলো দলকে।

সাফে প্রথমবার আমন্ত্রণ পেয়ে খেলতে এসেই ফাইনালে উঠল কুয়েত। আগামী মঙ্গলবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ লেবানন কিংবা স্বাগতিক ভারত। আজ রাতে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। জয়ী দল পাবে ফাইনালের টিকিট। লড়াইয়ের মঞ্চ ব্যাঙ্গালুরুর সেই শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়াম।

শক্তি-সামর্থ্য, র‌্যাঙ্কিং, অভিজ্ঞতা কিংবা মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল, সেমিফাইনালের আগে বাংলাদেশের চেয়ে কুয়েত সব জায়গাতেই এগিয়ে ছিল। সবশেষ দীর্ঘ ৩৭ বছর আগে এই দলটার কাছেই ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজও বড় ব্যবধানে হারতে পারতো দল। সেটি হতে দেননি গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।

গোলপোস্টের নিচে এদিন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স করেছেন জিকো। অন্তত ১০টি গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছেন জিকো। দারুণ পারফর্ম করেছেন দলের ডিফেন্ডাররাও। ১০৬ মিনিট পর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন রক্ষণদুর্গ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধার প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেন কুয়েত ফরওয়ার্ড আব্দুল্লাহ আল-বুলুসি।

এই গোলটাই ম্যাচের ভাগ্য কুয়েতের পক্ষে নির্ধারণ করে দিয়েছে। গোল পেতে পারতো বাংলাদেশও। কিন্তু ম্যাচের শুরুর দিকে সবচেয়ে সহজ সুযোগটা হাতছাড়া করেছেন মোরসালিন। তার শট গিয়ে লাগে কুয়েত গোলরক্ষকের গায়ে। এরপর দুর্ভাগ্যবশত গোল পায়নি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে একটি শট কুয়েদের ক্রসবারে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল।

সেই আক্ষেপ শেষ পর্যন্ত হতাশায় রূপ নেয়। দুর্দান্ত খেলেও বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশকে।