বাণিজ্যসচিব: আমদানি করলে গরুর মাংসের দাম হবে ৩৫০-৪০০ টাকা

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, আমদানি করে গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব। তবে দেশীয় উৎপাদকদের কথা ভেবে গরুর মাংস আমদানি করা হচ্ছে না।

গরুর মাংস

শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যসচিব।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা হলে গরুর মাংসের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু ভোক্তারা এখন কিনছে ৮০০ টাকায়। এই বাড়তি দামের চাপ ভোক্তাদের ওপর দেওয়া হচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীদের কথা ভেবে। ডিম, মুরগিসহ অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একইরকম।

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ভোক্তাদের যদি সুবিধা দিতে হয় তাহলে আমদানিকে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে আমদানিতে কোনো বিধিনিষেধ থাকে না। কিন্তু আমাদের বিধিনিষেধ আছে। কারণ আমাদের দেশে অনেক বেকার। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য, দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষার কথা ভেবে আমদানিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।

তবে আমদানি করা হলেও ৩৫০-৪০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দেশীয় উৎপাদকেরা।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক (বিডিএফএ) মোহাম্মদ শাহ এমরান বলেছেন, বাংলাদেশের তুলনায় ব্রাজিলে গরুর মাংসের দাম বেশি। আর্জেন্টিনাতে এর দাম বাংলাদেশের কাছাকাছি। এমনকি দামের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল প্রোডাক্ট প্রাইজ ওয়েবসাইট যে র‍্যাঙ্কিং করে, তাতে ৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪তম।