প্রথমবারের মতো ১০টি নতুন এয়ারবাস কিনছে বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি বিমান। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার দেওয়া বক্তব্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ৩৫০ মডেলের নতুন ১০টি বিমান কেনার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউরোপীয় মহাকাশ শিল্পে আস্থার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। ১০টি এয়ারবাস কেনার প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ।’

এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি বিমান

ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে সম্মিলিত এক ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উভয়েই আশা করি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে এই নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

দুই দেশ এয়ারবাস এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে মহাকাশ অংশীদারিত্বের একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। চিঠিতে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম কেনার বিষয়ে একটি ধারা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ও তৈরি করেছে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি।

এছাড়া, এজেন্স ফ্রাঁসেজ ডি ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে একটি ক্রেডিট সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার অধীনে ফ্রান্স বাংলাদেশে নগর শাসন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য ১৮৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে।

বর্তমানে বিমান বাংলাদেশের বহরে যেসব বিমান রয়েছে তার অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির তৈরি। এয়ারবাস কোম্পানির সঙ্গে এই প্রথমবারের মতো চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক আদেশ দুটি এয়ারবাস কেনা হবে, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে ১০টি উড়োজাহাজ চেয়েছি। কারিগরি কমিটি এখন মূল্যায়ন করছে। এই বিমানগুলো নতুন এবং পুরানো রুটে ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি দেশের বহরে এয়ারবাস এবং বোয়িং রয়েছে। তবে আমাদের কেবল বোয়িং আছে, একটিও এয়ারবাস নেই।’

নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের পর ম্যাক্রোঁ রোববার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকায় আসেন। ১৯ ঘণ্টার সফর শেষ করে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।