মন্ত্রী: চীনকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে, নেওয়ারও আছে

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমরা মনে করি চীনের অনেক কিছু দেওয়ার আছে এবং আমাদের নেওয়ারও কিছু আছে।’ মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ, রেলপথ, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন। এর জন্য, আমি সারা বিশ্বে ঋণের জন্য যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ঋণের চেয়ে প্রযুক্তির বেশি প্রয়োজন, কারণ আমাদের কাছে অর্থের চেয়ে প্রযুক্তির বেশি অভাব রয়েছে। প্রযুক্তির দিক থেকে চীন একটি উন্নত দেশ। আমরা সেখান থেকে শুধু পুঁজি নয়, প্রযুক্তিও আনতে পারি। এটা স্বচ্ছতা বজায় রেখে করা যেতে পারে।’

চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বকে বহুমুখী উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘চীন কেন? কারণ, চীন এশিয়ার প্রতিবেশী। সময় এখন এশিয়ার, এটা স্পষ্ট। এশিয়া মহাদেশে চীন শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে। তারা কঠোর পরিশ্রমে এটি অর্জন করেছে। তাই বাংলাদেশ এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে চীনের সঙ্গে ব্যবসা করছে। এটা কারো প্রতি ঘৃণা বা পক্ষপাতিত্বের বিষয় নয়।

বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়

আলোচনায় প্রায় সব বক্তা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘যখন বিআরআই চালু হয় তখন ওয়ার্কার্স পার্টির সেমিনারে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেছিলেন, এই উদ্যোগ বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একটি নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা।’

রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, গত ১০ বছরে যেসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত বা বাস্তবায়িত হচ্ছে, তার সবই বিশ্বের চিত্র বদলে দিচ্ছে। বিআরআইতে যোগদানের কারণে বাংলাদেশও কাঠামোগত উন্নয়ন লক্ষ্য করেছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং, চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবিএম ড. খোরশেদ আলমও কর্মসূচিতে অংশ নেন।