প্রধানমন্ত্রী: সতর্ক থাকুন, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে

দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।’ একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপ্তি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী অক্টোবরে সংসদের আরেকটি অধিবেশন বসবে। তারপরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ আমাদের ভোট দিলে আমরা এখানে থাকব, না দিলে ওইদিকে (বিরোধী বেঞ্চ) যাব। আমরা। আমরা সব কিছু জনগণের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’

সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রগতির পাশাপাশি দেশের অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কেউ যাতে বাঁধা দিতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি দেশবাসীসহ সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না।

বাংলাদেশে নির্বাচন ইস্যুতে সরব থাকা কিছু বিদেশি দেশের সমালোচনা করে প্রথানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, কেন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আগের প্রহসনমূলক নির্বাচনের বিরুদ্ধে দেশগুলো আওয়াজ তোলেনি।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে উপ-নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় সংসদের পদ্মা গ্যালারিতে বসে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য ধৈর্য ধরে শ্রবণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশবাসীকে কিছুটা মূল্যস্ফীতির শিকার হতে হলেও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট নেই। উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাজার মনিটরিং করতে বলেছেন এবং দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রবণতা কেন তা খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তৎপরতা চালাতে বলেছেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।