ড্রোন নিয়ে দেশে ফিরলেন কিম

ছয় দিনের সফর শেষে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রোববার রাশিয়া ত্যাগ করেছেন। বিরল এই সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার (কিম) দেশের সম্পর্ককে দৃঢ় করতে দেখা গেছে। তবে পশ্চিমাদের আশঙ্কা, ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন

গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া কিমের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক সহযোগিতা। রাশিয়া কিমকে কামিকাজে ড্রোন, জেনার-২৫ ড্রোন এবং বুলেটপ্রফ ভেস্ট দিয়েছে। এই সফরকে উত্তর কোরিয়া সফল বলে আখ্যা দিয়েছে। যদিও পশ্চিমা বিশ্ব এই সফরকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছে।

সফরের উদ্দেশ্য

কিমের রাশিয়া সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সামরিক সহযোগিতা। এই সফরে রাশিয়া কিমকে কামিকাজে ড্রোন, জেনার-২৫ ড্রোন এবং বুলেটপ্রফ ভেস্ট দিয়েছে। এই ড্রোনগুলো উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

কিমের রাশিয়া সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট কর্মসূচি। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। এই স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ রয়েছে। কিম ও পুতিন এই সফরে স্যাটেলাইট কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সফরের ফলাফল

রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচটি কামিকাজে ড্রোন, একটি জেনার-২৫ ড্রোন এবং বুলেটপ্রফ ভেস্ট পেয়েছেন কিম জং-উন। কিমের এই সফরকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ সফল বলে আখ্যা দিয়েছে।

সফরের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র পেতে পারে রাশিয়া। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবে দেশটি। তবে মস্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি, হবেও না।

সফরের মূল ঘটনাবলী

৩ সেপ্টেম্বর: কিম জং-উন রাশিয়া সফরে যান।
৪ সেপ্টেম্বর: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৫ সেপ্টেম্বর: রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৬ সেপ্টেম্বর: রাশিয়া থেকে দেশে ফেরেন।

এছাড়া এ সফরে কিম ফার ইস্টার্ন স্টেট ইউনিভার্সিটিও পরিদর্শন করেছেন।

কিম জং-উনের রাশিয়া সফর উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।