৪ বছর পর মুক্তি পেয়েই ইমামের দায়িত্বে কাশ্মিরের মিরওয়াইজ ফারুক

টানা চার বছর গৃহবন্দি থাকার পরে মুক্তি পেয়েছেন ভারতের জম্মু কাশ্মিরের হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুক। তার মুক্তিতে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহ। বিজেপিও স্বাগত জানিয়েছে। মুক্তিলাভের পরপরই জুমার নামাজে ইমামতি করেন মিরওয়াইজ। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

মিরওয়াইজ ওমর ফারুক

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা তথা কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের আগেই মিরওয়াইজসহ অন্যান্য হুরিয়ত নেতাকে বন্দি করা হয়। এর মধ্যে গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ। তবে জম্মু কাশ্মির হাই কোর্ট গত সপ্তাহেই তার মুক্তির আবেদন খতিয়ে দেখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার তার মুক্তির আবেদনের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

এরপরই মিরওয়াইজের পক্ষ থেকে জানা যায়, তিনি শ্রীনগরের বিখ্যাত জামা মসজিদের জুমার নামাজে যোগ দেবেন। একই সঙ্গে সেখানে ইমামতিও করবেন তিনি। ফলে শুক্রবার সকালেই মিরওয়াইজকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

কাশ্মির

মিরওয়াইজের মুক্তির পর দারাখশন আন্দরাবি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে শুভেচ্ছা জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবিটি পোস্ট করে বিজেপি নেত্রী লেখেন, ধর্ম বিষয়ে যারা প্রাজ্ঞ, তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর কপিরাইট থাকে না। এ সময় তিনি মিরওয়াজকে মুক্তি দেওয়ায় প্রশাসনের প্রশংসাও করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় প্রশাসন মনে করছে, কাশ্মির উপত্যকায় শান্তি ফিরছে। তাই স্বাধীনতাকামী নেতাদের দেশীয় রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরাতে চাইছে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে চার বছর পর মুক্ত বাতাসের ছোঁয়া পেলেন মিরওয়াইজ ওমর ফারুক।

এদিকে হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজের মুক্তির পর ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের মুক্তির অর্থ হচ্ছে, কাশ্মিরের পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ নয়। গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তির ফলে এখন তিনি সামাজিক দায়িত্বগুলো পুরোপুরি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জম্মু কাশ্মিরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী।